বিদেশে অর্থ পাচারকারী ৮০ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছে দুদক। কানাডার বেগমপাড়ায় অর্থ পাচারকারী আমলাদের তথ্যও আগামী ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টকে জানাবে সংস্থাটি।
বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারের হাব হিসেবে সম্প্রতি আলোচনায় আসে কানাডার বেগমপাড়া। এখানে কোটি কোটি টাকা পাচারকারীদের বেশিরভাগই সরকারি কর্মকর্তা।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে এসব ইস্যুতেই অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জরুরি বৈঠকে বসে দুর্নীতি দমন কমিশন, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এনবিআর, ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স আর বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা জানান, ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে বেগমপাড়ায় অর্থ পাচারকারীদের তালিকাসহ সব তথ্য জমা দিতে প্রস্তুত তারা।
আর দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতিনিধি জানান, বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িত ৮০ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করছেন তারা।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম বলেন, সর্বশেষ ৮০ জন বড় আমলা, যারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করেছেন তাদের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এর আগে অনেকের সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশন শুরু থকে শেষ পর্যন্ত টাকা পাচার সংক্রান্ত যত গুরুত্বপূর্ণ মামলা করেছে আমরা সবগুলোর তথ্য-উপাত্ত আগামী বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) নির্ধারিত তারিখে আদালতকে দেওয়ার চেষ্টা করব।
বৈঠকে বেগমপাড়ায় অর্থ পাচারকারী ২৮ জনের কথা জানিয়ে বিদেশি মিশনগুলোকে তাদের সম্পর্কে তথ্য দেয়ার নির্দেশনার কথাও উঠে আসে।
গেল মাসে কানাডার বেগমপাড়ায় বাংলাদেশি অর্থ পাচারকারীদের তালিকা দিতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। তালিকা জমা দেয়ার নির্ধারিত সময়ের ২ দিন আগেই রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।