সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেনকে নিয়ে ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. রাব্বীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে শেখ রাব্বীকে আদালতে সোপর্দ করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
বিকেল ৩টায় শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ এম ইমরানুর রহমান মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে রাব্বীকে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে রোববার (৬ ডিসেম্বর) রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় শহরের সাধনার মোড় থেকে রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয়।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খলিলুর রহমান জানান, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. রাব্বী তার নিজ ফেসবুক আইডি ও মেসেঞ্জার থেকে ঝালকাঠি-২ আসনের সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমু ও তার মেয়ে সুমাইয়া হোসেন সম্পর্কে গত শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। বিষয়টি ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস-চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালী দেখতে পেয়ে বাদী এবং সাক্ষীদের জানান। পরে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান মনু রোববার রাতে ঝালকাঠি থানায় এজাহার দায়ের করেন।
মামলা রেকর্ডের কিছুক্ষণ পর রোববার রাত ৯টার দিকে হযরত আলী রাব্বীকে গ্রেফতার করা হয়।
শেখ রাব্বীর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কেউ তার ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেক ফেসবুক আইডি খুলে তাকে বিপদে ফেলেছে। এ বিষয়ে থানায় জিডি করতে গেলে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে পুলিশ তাকে আটক করে।