অর্থ আত্মসাৎ করে কানাডায় পালিয়ে যাওয়া পি কে হালদারের বিরুদ্ধে সব মামলার নথি চেয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল পুলিশ অর্গানাইজেশন (ইন্টারপোল)। ইতোমধ্যে কিছু তথ্য সরবরাহ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
সোমবার দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। এর আগে পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইন্টারপোলের সহায়তার আবেদন করে দুদক।
এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদার (পি কে হালদার) পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স সার্ভিস লিমিটেডের (আইএলএফএসএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন।
দুদকের আইনজীবী জানান, পি কে হালদারের মামলার সর্বশেষ অবস্থা, তাকে বিদেশ থেকে ফেরাতে এবং গ্রেফতার করতে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। গত ১৯ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদেশে দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, ঢাকা জেলা প্রশাসককে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে দুদক চেয়ারম্যানকে। পরবর্তী আদেশের জন্য আগাগী ২ ডিসেম্বর দিন রেখেছেন আদালত। আমরা আদালতের নির্দেশ মোতাবেক একটি প্রতিবেদন তৈরি করছি, ওইদিন জমা দেব।
গত ১৮ নভেম্বর গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নজরে নিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
খুরশীদ আলম খান ওইদিন আদালতে বলেন, আসার কথা বলেও তিনি (পি কে হালদার) দেশে আসেননি। সবশেষ অবস্থা হল, আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে চেষ্টা করছি। এ সময় আদালত পত্রিকায় প্রকাশিত নিউজের একটি অংশ পড়ে শোনান। আদালত বলেন, আত্মসাৎ করে টাকা দেশের বাইরে পাঠিয়েছে কি?
প্রশান্ত কুমার হালদার বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাট করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে দুই বিনিয়োগকারীর করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি এক আদেশে প্রশান্ত কুমার হালদারসহ সংশ্লিষ্ট ২০ জনের ব্যাংক হিসাব ও পাসপোর্ট জব্দের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।