প্রায় তিন বছর আগে বিথী আক্তারের সঙ্গে আবদুর রবের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দেড় বছরের শিশুসন্তান রয়েছে। সুখেই কাটছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। সম্প্রতি সন্তান রেখেই ফেসবুকে পরিচয় হওয়া প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন বিথী। এছাড়া মামলা দিয়ে মেয়ের শ্বশুর-শাশুড়িকে হয়রানি করছেন বিথীর বাবা।
ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের রায়পুর পৌরসভার পূর্বলাচ গ্রামে। শনিবার সকালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করে বিচার চান বিথীর শ্বশুর আবদুল কাদের।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে বিথী ও আবদুর রবের বিয়ে হয়। বিয়ের দেড় বছর পর তাদের ঘরে একটি সন্তান জন্ম হয়। আমার ছেলে বিদেশে থাকে।
আবদুল কাদের অভিযোগ করেন, প্রবাসী স্বামীর অনুপস্থিতিতে ২০ আগস্ট রাতে ফেসবুকে পরিচয় হওয়া প্রেমিক রাকিবের সঙ্গে শারীরিক মেলামেশার সময় ধরা পড়ে বিথী। পরে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবে না বলে রক্ষা পায় বিথী ও তার প্রেমিক। ২০ অক্টোবর আবদুর রবের পাঠানো চার লাখ টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণ ও দেড় বছরের শিশুসন্তান রেখে প্রেমিক রাকিবের সঙ্গে পালিয়েছে বিথী।
ঘটনার দিনই রায়পুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন আবদুল কাদের। কিন্তু ১৯ নভেম্বর মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগে আবদুল কাদেরসহ চারজনের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে মামলা করেন বিথীর বাবা অটোচালক বাবুল মিয়া।
রায়পুর থানার ওসি আবদুল জলিল বলেন, বিথীর নিখোঁজের বিষয়ে থানায় করা তার শ্বশুরের অভিযোগ এবং তার বাবা বাবুলের করা আদালতের মামলাটি তদন্তাধীন। তবে মেয়েটি নিজ ইচ্ছায় বাড়ি থেকে বের হয়ে ঢাকার কোনো একটি গার্মেন্টসে কাজ করছেন বলে জানতে পেরেছি।