সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা সাংবাদিক কনক সারওয়ার ও ইলিয়াস হোসেনসহ অন্তত ৩৫ জনের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্ট ইউনিট (বিএফআইইউ)। বুধবার (২৫ নভেম্বর) বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন বিএফআইইউ প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান।
তিনি বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ওঠে, অথবা যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে যাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হয়, তাদের ব্যাংক হিসাব আমরা তলব করি। সাংবাদিক কনক সারওয়ার, সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনসহ অনেকের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে। এ কারণে আমরা তাদের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখছি।
আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বলেন, ‘তারাসহ আরও অনেকের ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তাদের ব্যাংক হিসাবে কী ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে, সে ব্যাপারে এখনই বলার সময় আসেনি।’
প্রসঙ্গত, বিএফআইইউ থেকে রবিবার (২২ নভেম্বর) ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত একাধিক চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে মেজর (অব.) দেলোয়ার, শেখ মহিউদ্দিন আহমেদ, পিনাকী ভট্টাচার্য, সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান, শিপন কুমার বসু, ড. তুহিন মালিক, মীর জাহান, সানিউর রহমান, রবীন্দ্র ঘোষ, গবিন্দ্র চন্দ্র প্রামাণিক, একেএম ওয়াহিদুজ্জামান, আসাদুজ্জামান নূর এবং আসিফ মহিউদ্দিন ও ‘গোল্ডেন’ মনিরসহ ৩০ জনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য সাত দিনের মধ্যে বিএফআইইউকে জানাতে বলা হয়েছে।
বিএফইউর চিঠিতে এসব ব্যক্তি, তাদের নামে থাকা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সব ধরনের হিসাব তলব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে শুরু করে সর্বশেষ লেনদেন, কেওয়াইসি ফরম এবং ট্রান্সজেকশনের প্রোফাইল চাওয়া হয়েছে।
এছাড়াও পৃথক আরও চারটি চিঠিতে আরও ১৮ ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের হিসাব চাওয়া হয়েছে। এরা হলেন— সেলিনা খাতুন, সুস্মিতা সাহানা জামান, জিন্নাত রহমান, নাজিয়া রহমান, মো. সাইদুর রহমান, রবিউল ইসলাম, মো. পারভেজ রানা, মীর মো. কাইজার হোসেন, মো. আবদুল বারিক সরকার, বেগম আনার কলি, বেগম সামছুন্নাহার, মো. সোহানুর রহমান, সেতারা পারভীন, রেক্টো লিমিটেড, ফেরদৌসী বেগম, মো. আল আমিন, শারমিন আক্তার, মো. ইসহাক ও সুরুজ মিয়া।