ভোরের আলো ডেস্ক: বর্তমান জামানার আইন বেশ কড়া। প্রথম স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করা যায় না। সবচেয়ে বড় কথা হলো-স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের প্রয়োজন হলেও প্রথম স্ত্রী সঙ্গতকারণেই অনুমতি দিতে চান না। সেখানে কি-না স্বামীর চতুর্থ বিয়ের আয়োজনে পাত্রী খুঁজে দিচ্ছেন তার তিন স্ত্রী! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমন অবাক করার ঘটনা ঘটছে যাচ্ছে পাকিস্তানে।
সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ পেয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম আদনান। তিনি শিয়ালকোটের বাসিন্দা। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ছাত্রাবস্থাতেই প্রথম বিয়ে হয় তার। প্রথম স্ত্রী সম্বলের সঙ্গে বেশ সুখেই দিন কাটছিল। তা সত্ত্বেও চার বছর কাটতে না কাটতেই দ্বিতীয় বিয়ের কথা ভাবেন তিনি। যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি। বাড়িতে নিয়ে আসেন শাবানাকে।
গত বছর তৃতীয় বিয়ে সেরেছেন পাকিস্তানি এই যুবক। শাহিদা নামের এক নারী হয়েছেন তার তৃতীয় স্ত্রী। বর্তমানে পাঁচ সন্তানের বাবা আদনান। প্রথম স্ত্রীর তিনটি, দ্বিতীয় স্ত্রীর নিজের বলতে একটিই সন্তান। তবে দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে একটি সন্তান দত্তকও নিয়েছেন আদনান। তৃতীয় স্ত্রীর কোনো সন্তান নেই। এবার পালা চতুর্থ বিয়ের।
তবে আদনানের একটাই শর্ত-চতুর্থ স্ত্রীর নামের আদ্যক্ষর হতে হবে ‘স’ বা ‘শ’। এটা বাদে পাত্রী দেখার ক্ষেত্রে আর কোনো পছন্দ-অপছন্দ নেই পাঁচ সন্তানের বাবা আদনানের।
তবে সবচেয়ে অবাক করার বিষয় হলো-আদনানের চতুর্থ স্ত্রী খুঁজে দেয়ার দায়িত্বটা নিয়েছেন তার তিন স্ত্রী। তারাই নাকি স্বামীর মন বুঝে পছন্দমতো হবু বউ খোঁজার চেষ্টা করছেন।
পাকিস্তানি দৈনিক ডেইলি পাকিস্তানকে আদনান বলেছেন, তার তিন স্ত্রী থাকলেও দাম্পত্য জীবনে তিনি সুখী। কারোর প্রতি কারোর অভিযোগ নেই। তার বাড়িতে রয়েছে ছয়টি বেডরুম। পালাক্রমে স্ত্রীদের সময় দেন।