যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে সর্বশেষ প্রান্ত ফলাফলে পার্থক্য দেখা গেছে। অন্যান্য দেশের নির্বাচনে যা পরিলক্ষিত হয় না। গণমাধ্যমের খবরে এ ধরনের পার্থক্যের কারণ হলো যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন ব্যবস্থা।
ঐতিহ্য অনুযায়ী দেশটিতে নির্দিষ্ট কোনো কেন্দ্রীয় নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার ব্যবস্থা নেই।
যা বাংলাদেশে রয়েছে। আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশন নির্দিষ্ট কেন্দ্র থেকে আসনের বা কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করে যা পরে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
গার্ডিয়ান জানিয়েছে, তারা বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস থেকে এ নির্বাচনে ভোটের তথ্য সংগ্রহ করছে। এর বাইরে অনেকে ফক্স অথবা এনবিসি থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করছে। যে কারণে উইসকনসিন এবং মিশিগানে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনকে সব একসঙ্গে গণমাধ্যম জয়ী দেখায়নি। যেমন, ফক্স নিউজের তথ্যমতে জো বাইডেন পেয়েছেন ২৬৪ ইলেকটোরাল ভোট। নিউইয়র্ক টাইমসে যা দেখাচ্ছে ২৫৪।
যুক্তরাষ্ট্রে গণমাধ্যমের উদ্যোগে তৈরি হয় ‘ডিসিশন ডেস্ক’ যেখান থেকে ভোটের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়। নেভাদা বা জর্জিয়ার মতো রাজ্যে, যেখানে ব্যবধান খুব কম সেসব ক্ষেত্রেও গণমাধ্যম কাউকে বিজয়ী না করা পর্যন্ত ফলাফল মানুষ জানতে পারে না।
এক্ষেত্রে কেউ যদি আগে কোনো রাজ্যের ইলেকটোরাল ভোট প্রকাশ করে তাহলে তাকে অনুসরণকারী অন্য গণমাধ্যম সে ফলই প্রকাশ করে। আর যে পরে প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে তার কাছ থেকে তথ্য নেয়া গণমাধ্যমেও এসব ভোটের ফলাফল পরে দেখানো হয়।