লিখেছেন মাহবুব মাসুম
এক দশকের যুদ্ধের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে স্বাধীনতা পায় যুক্তরাষ্ট্র, স্বাধীনতার পরপরই শুরু হয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার যাত্রা। দীর্ঘ আড়াইশো বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা করছে, চর্চা করছে উদার গণতন্ত্রের। স্বাধীনতার পর থেকে এই দীর্ঘ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধ হয়েছে, অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা বেড়ে গিয়েছে, আমেরিকানরা অংশ নিয়েছে দুইটি বিশ্বযুদ্ধে।
এতকিছুর মধ্যেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কখনো ব্যাহত হয়নি, ব্যাহত হয়নি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম। বরং, সময়ের সাথে যুক্তরাষ্ট্র রক্ষণশীলতা থেকে ক্রমে লিবারেলিজমের দিকে এসেছে, পরাশক্তি হিসেবে দিয়েছে বিশ্বের নেতৃত্ব। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ চর্চার দীর্ঘ ইতিহাসের এই দেশটিতে প্রতি চার বছর পরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়, যিনি একইসাথে দায়িত্ব পালন করেন রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান হিসেবে, দায়িত্ব পালন করেন কমান্ডার-ইন-চিফ হিসেবেও।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গৌরবময় গণতান্ত্রিক যাত্রায় ৪৫তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প, ২০১৬ সালের নির্বাচনে যিনি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটে হারিয়েছিলেন ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্প জড়িয়েছেন একের পর এক বিতর্কে, প্রশাসনিকভাবে যিনি দিয়েছেন চূড়ান্ত অদক্ষতার প্রমাণ। বৈশ্বিক পরিসরেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভূমিকার সমালোচনা হয়েছে, সমালোচনা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের প্রতি তার বিতর্কিত নীতির। ট্রাম্পের সময়ে এসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের হেজিমোনিক স্ট্যাটাস, তারা নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে বর্ণবাদ, বেড়েছে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা। ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সির শেষ বর্ষে এসে পুরো বিশ্ব মুখোমুখি হয়েছে মহামারির, ট্রাম্প প্রশাসনের ব্যর্থতায় আক্রান্তের সংখ্যা আর মৃত্যু, দুটোতেই শীর্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে, আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আবির্ভূত হচ্ছে অনেকটা ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর গণভোট হিসেবে।
ইতোমধ্যেই, সবগুলো জনমত জরিপে ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে ১০-১২ পয়েন্টে এগিয়ে আছেন জো বাইডেন, এগিয়ে আছেন সুইং স্টেটগুলোতেও। ইতিহাসের অধ্যাপক অ্যালান লিকম্যান, যিনি যুক্তরাষ্ট্রের গত নয়টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নির্ভূলভাবে পূর্বাভাস দিয়েছেন, তিনিও পূর্বাভাস দিয়েছেন, জিতবেন জো বাইডেন। তবে, এখনো অক্টোবর মাস বাকি, বাকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বহুল আলোচিত ‘অক্টোবর সারপ্রাইজ’ পাওয়াও। এর মধ্যে কমে আসতে পারে জনমত জরিপে বাইডেন-ট্রাম্পের ব্যবধান, শেষ মুহূর্তে যেকোনো কিছু পাল্টে দিতে পারে নির্বাচনের মানচিত্র। তবে, জনমত জরিপ আর পোলগুলোর ফলাফল বলছে, অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু না ঘটলে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়ে আসছেন জো বাইডেন।
ছয়বারের সিনেটর জো বাইডেন দায়িত্ব পালন করেছেন সিনেটর ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান হিসেবে, দায়িত্ব পালন করেছেন জুডিশিয়ারি কমিটিতেও। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার দুই মেয়াদে জো বাইডেন দায়িত্ব পালন করেছেন ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে, পেয়েছেন প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অভ ফ্রিডম। যদি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আসেন জো বাইডেন, কেমন প্রেসিডেন্ট হবেন তিনি, কেমন হবে তার প্রেসিডেন্সি?
মহামারি ব্যবস্থাপনা
গত বছর চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে এরই মধ্যে পৃথিবীর সবদেশই আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যু হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষের। প্রথম দু’ বছরে হোয়াইট হাউজের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্রায় ৬৫ ভাগেই পরিবর্তন আনা ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যর্থ হয়েছেন মহামারি নিয়ন্ত্রণে, ব্যর্থ হয়েছেন মহামারি ব্যবস্থাপনাতেও। ফলে, যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা পৃথিবীর অন্য যেকোনো দেশের চেয়ে বেশি, ইতোমধ্যেই এ ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু হয়েছে দু’ লাখেরও বেশি মানুষের। আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে, দ্রুত সম্ভাবনা নেই ভ্যাকসিন আসারও। ফলে, বাইডেন প্রশাসনের জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ হবে মহামারি ব্যবস্থাপনা।
ইতোমধ্যেই জো বাইডেন তার নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যাখ্যা করেছেন তার মহামারি ব্যবস্থাপনার পরিকল্পনা, প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আরো জনবান্ধব স্বাস্থ্যকাঠামো তৈরির। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিনামূল্যে ভাইরাস টেস্টিংয়ের সুবিধা ও চিকিৎসা প্রদান, ডাক্তার আর চিকিৎসার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের জন্য পর্যাপ্ত পিপিই আর মেডিকেল ইকুইপমেন্টের ব্যবস্থার।
তবে, মহামারি ব্যবস্থাপনায় জো বাইডেনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হবে ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা। খুব স্বাভাবিকভাবেই, বিশ্বের সব দেশ ভ্যাকসিন তৈরি করতে পারবে না, পারবে না ভ্যাকসিন উৎপাদন করতেও। ফলে, ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনাটা অনেকটা নির্ভর করবে পরাশক্তিগুলোর উপর, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশগুলোর উপর। বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই জো বাইডেন উঠে আসতে চান বৈশ্বিক নেতা হিসেবে, পুনরুদ্ধার করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের হেজিমোনিক স্ট্যাটাস।
অর্থনীতি
মহামারির কবলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো স্থবির হয়ে গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিও, বন্ধ ছিল আবাসন ব্যবস্থা, পর্যটন খাত। মহামারির সরাসরি প্রভাব পড়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে, প্রভাব পড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর বাইরের খাতগুলোতেও। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের রপ্তানি কমেছে ২০ শতাংশ, আমেরিকানদের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে ১০ শতাংশেরও বেশি, চাকরি হারিয়েছেন ৪ কোটি আমেরিকান। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে, বাইডেনের অন্যতম চ্যালেঞ্জ হবে আমেরিকার অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করানো, সামাজিক সুরক্ষাখাতকে বিস্তৃত করা।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে যুক্তরাষ্ট্র কথিত বাণিজ্যযুদ্ধে জড়িয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, করারোপ করা হয়েছে চীনে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের উপর। বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে আসলেও রাতারাতি এ পলিসি পরিবর্তন হওয়ার সুযোগ নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি একটা দীর্ঘসময় ছিলো রক্ষণশীল ধারার, শুল্কারোপ করে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে আমেরিকান বিভিন্ন দেশীয় শিল্পখাতকে। দীর্ঘদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ধুঁকছে, প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে গেছে, সংকট আরো ঘনীভূত করেছে মহামারি। ফলে, মধ্যবিত্ত শ্রেণির স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া বাইডেন নির্বাচিত হয়ে আসলেও এই বাণিজ্যযুদ্ধ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে আসার তেমন সম্ভাবনা নেই। বরং সম্ভাবনা আছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির আরো সংরক্ষণশীল নীতি গ্রহণের, বাণিজ্যযুদ্ধ আরো তুঙ্গে ওঠার, বাণিজ্যযুদ্ধের সাথে নতুন নতুন দেশ জড়িয়ে যাওয়ার।
পররাষ্ট্রনীতি
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ পলিসি যুক্তরাষ্ট্রকে বৈশ্বিক পরাশক্তির অবস্থান থেকে ক্রমাগত রক্ষণশীল অবস্থায় নিয়ে এসেছে, বিভিন্ন স্থানে বাধাগ্রস্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের স্বার্থ, বিঘ্নিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের নিরাপত্তা। ফলে, বৈশ্বিক পরাশক্তি এবং নিরাপত্তার ধারণা থেকে ট্রাম্পের সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত বিচ্যুতি ঘটেছে। বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের আস্থা ফিরিয়ে আনার কাজ করতে হবে, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে, কাজ করতে হবে হেজিমোনিক স্ট্যাটাস ফিরিয়ে আনতেও।
আঞ্চলিক ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের পাশ কাটিয়ে অনেক সময় তাদের স্বার্থবিরোধী কাজ করেছে, আস্থা নষ্ট করেছে, বাইডেনকে কাজ করতে হবে সেগুলো ফিরিয়ে আনতেও। ট্রাম্পের সময়ে বিভিন্ন দেশে কর্তৃত্ববাদের উত্থান হয়েছে, উত্থান হয়েছে হাইব্রিড রেজিমের, বাইডেনকে কাজ করতে হবে সেগুলো নিয়েও।
বাইডেনের পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি অংশ থাকবে পারমাণবিক নিরাপত্তা। ইতোমধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের সাথে রাশিয়ার যেসব পারমাণবিক অস্ত্রচুক্তি ছিলো, ট্রাম্প প্রশাসন তার অনেকগুলোই ছুঁড়ে ফেলেছে, বেরিয়ে এসেছে ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি থেকে, ব্যর্থ হয়েছে উত্তর কোরিয়ার সাথে করা এক পৃষ্ঠার পারমাণবিক চুক্তিও। ফলে, বাইডেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে নিরাপত্তার ধারণার সাথে জড়িত গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়গুলোকে নিয়ে কাজ করতে হবে, এই দেশগুলোকে নিয়ে আসতে হবে আলোচনার টেবিলে
বাইডেনের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে মহাকাশে আমেরিকান সম্পত্তির নিরাপত্তা দেওয়া, মহাকাশে রাশিয়া-চীনের হুমকি মোকাবেলা করে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখা। ইতোমধ্যেই ট্রাম্পের সময়ে গঠিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ বাহিনী, বাইডেন নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব নিলে নিশ্চিতভাবেই এর আরো প্রসার করবেন। পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে বিভিন্ন ফ্রন্টে যুদ্ধ করা আমেরিকান যোদ্ধারাও। ২০০১ সালে শুরু হওয়া সন্ত্রাসবাদবিরোধী যুদ্ধে হাজার হাজার মার্কিন সেনা প্রাণ হারিয়েছে, প্রাণ হারিয়েছে লাখ লাখ বেসামরিক নাগরিক। বাস্তুচ্যুত হয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ, যুক্তরাষ্ট্রের খরচ হয়েছে ১৮ ট্রিলিয়ন ডলারেরও বেশি। এই যুদ্ধের শেষ কোথায়, সেটিও চিহ্নিত করতে হবে বাইডেনকে।
জলবায়ু পরিবর্তন
বর্তমান সময়ে যে কয়েকটি বৈশ্বিক সমস্যা আছে, যেগুলো রাষ্ট্র এককভাবে মোকাবেলা করতে পারবে না, প্রয়োজন বৈশ্বিক উদ্যোগ, সেগুলোর মধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন অন্যতম। ওবামা প্রশাসনের অন্যতম সাফল্য ছিল প্যারিস জলবায়ু চুক্তি, যেটি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের এ পলিসিতে পরিবর্তন আসবে, পরিবর্তন হবে ট্রাম্পের প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তও। বাইডেনের ডেমোক্রেটিক পার্টি ক্রমাগত বামপন্থার দিকে সরে যাচ্ছে, দলে অংশগ্রহণ বাড়ছে পরিবেশবাদীদের, ফলে, বাইডেনকে ঘোষণা করতে হয়েছে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের পরিকল্পনা। এতে অন্তর্ভুক্ত থাকছে গ্রিন এনার্জিতে বিনিয়োগে প্রণোদনার প্রতিশ্রুতি, অন্তর্ভুক্ত থাকছে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন কমাতে উদ্যোগের প্রতিশ্রুতিও।
গণ সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দীর্ঘ ইতিহাস থাকলেও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র লালন করছে উদারপন্থী আদর্শ, বৈশ্বিক পরাশক্তি হিসেবে উৎসাহ দিয়েছে মুক্তবাজার অর্থনীতিকে। এরপরও, শ্রেণিবিভেদ রয়েই গেছে যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে, রয়েছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতাও। ডোনাল্ড ট্রাম্প এগুলোকে কাজে লাগিয়েই এসেছেন ক্ষমতায়। কিন্তু, আমেরিকার সমাজের একটা বড় অংশ গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে ধারণ করে, ধারণ করে সাম্যের ধারণাকে। এই সাম্যের ধারণাই বিজয়ী করতে পারে ডেমোক্রেটিক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী জো বাইডেনকে, পৃথিবীতে জনতুষ্টিবাদ আর হাইব্রিড রেজিমের যে উত্থান ট্রাম্পের আমলে হয়েছে, তা রুখে দিতে।