অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় গতকাল সোমবার রাতে রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। প্রকাশ্যে গুলির ঘটনায় অন্তত তিন ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে এক বন্দুকধারীও রয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত আটটার দিকে বন্দুকধারী ব্যক্তিরা ভিয়েনার কেন্দ্রস্থলের ছয়টি স্থানে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। এতে দুই ব্যক্তি নিহত হন। আহত হন বেশ কয়েকজন।
অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জ এই ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
সেবাস্তিয়ান কুর্জ জানিয়েছেন, হামলার ঘটনায় এক বন্দুকধারী নিহত হয়েছেন।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, পুলিশ অন্তত এক হামলাকারীকে খুঁজছে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
ভিয়েনার কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ইহুদিদের উপাসনালয় সিনাগগের কাছেও গুলির ঘটনা ঘটেছে। তবে এ সময় সিনাগগ বন্ধ ছিল।
গুলির ঘটনাগুলো ‘টার্গেট’ করে করা হয়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়।
পুলিশ জানায়, গুলিতে একজন সাধারণ ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অপরজনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে।
অন্তত ১৪ ব্যক্তি হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা গেছে। তাঁদের মধ্যে অন্তত ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পুলিশের এক কর্মকর্তাও রয়েছেন।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে অস্ট্রিয়াজুড়ে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপের কয়েক ঘণ্টা আগে গুলির এ ঘটনাগুলো ঘটল। এ সময় অনেক মানুষ বাইরে ছিল।
ঠিক কতজন হামলাকারী এই হামলায় অংশ নিয়েছেন, তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
অস্ট্রিয়ার গণমাধ্যম বলছে, এই ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ইউরোপীয় নেতারা গুলির এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানিয়েছেন, ভয়ানক এ হামলার ঘটনায় তিনি গভীরভাবে মর্মাহত।