ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় স্বামীর সঙ্গে পূজামণ্ডপে অঞ্জলি দিয়ে আইনি মারপ্যাঁচে পড়তে যাচ্ছেন বাংলাদেশের মডেল ও অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা।
জানা গেছে, কলকাতার হাইকোর্টে নির্ধারিত মণ্ডপের ‘নো এন্ট্রি জোনে’ প্রবেশ করার কারণে তিনি আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে পারেন।
একই কারণে মিথিলার স্বামী পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়, সংসদ সদস্য অভিনেত্রী নুসরাত জাহান, সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্রও আদালত অবমাননার দায়ে পড়তে পারেন বলে জানা গেছে।
রাজ্যের সব পূজা প্যান্ডেলে দর্শকদের ঢোকার ক্ষেত্রে গত ১৯ অক্টোবর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন কলকাতা হাইকোর্ট। ওই দিন সব পূজা প্যান্ডেলকে ‘নো এন্ট্রি’ জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শনিবার সকালে নিউ আলিপুরের সুরুচি সংঘের পূজামণ্ডপের ‘নো এন্ট্রি জোনে’ প্রবেশ করে অঞ্জলি দিতে যান নুসরাত, সৃজিত, মিথিলা। ছিলেন নুসরাতের স্বামী নিখিল জৈনও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নুসরাত-সৃজিতরা অঞ্জলি দিয়েছেন হাইকোর্ট নির্ধারিত মণ্ডপের ‘নো এন্ট্রি জোনে’। আর সেখান থেকেই জন্ম হয়েছে বিতর্কের।
সূত্রের বরাতে খবরে বলা হয়, আদালতের নির্দেশ ভেঙে নুসরাতদের ওই মণ্ডপে ভিড় করার ঘটনাকে আদালতে ‘হাতিয়ার’ করতে চলেছেন পূজা মামলার আইনজীবীরা।
মামলার আবেদনকারীর আইনজীবীদের বক্তব্য– আদালতের নির্দেশ সবার জন্যই প্রযোজ্য। সে ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের নিয়ম মানার ক্ষেত্রে আরও ইতিবাচক ভূমিকা নেয়া প্রয়োজন। কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যায়নি।
তবে নুসরাত-ঘনিষ্ঠদের দাবি, তিনি গত কয়েক বছর ধরেই ওই ক্লাবের সদস্য। তাই তিনি কর্মকর্তাদের পক্ষে ‘নো এন্ট্রি জোনে’ ঢুকতেই পারেন। একইভাবে সৃজিতকেও ‘ক্লাব সদস্য’ বলেই বর্ণনা করেছেন তার ঘনিষ্ঠরা।
কিন্তু নুসরাতের স্বামী নিখিল ও সৃজিতের স্ত্রী মিথিলা মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারেন কিনা তা নিয়ে তর্কের অবকাশ রয়েছে। মিথিলা আদতে বাংলাদেশের নাগরিক। সৃজিতের সঙ্গে মাত্রই কয়েক মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। তিনি কি ওই ক্লাবের সদস্য হতে পারেন? নুসরাতের স্বামী নিখিলকে নিয়েও একই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। যে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে মহুয়াকে নিয়েও।
পূজা মামলার সঙ্গে যুক্ত আইনজীবীরা জানিয়েছেন, পরবর্তী শুনানির সময় এদিনের অঞ্জলি দেয়ার ঘটনাকে হাতিয়ার করতে পারেন মামলাকারী। তবে এখনই মামলাকারী নুসরাতদের আইনি নোটিশ পাঠাবেন কিনা, তা জানা যায়নি।