বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়টি যাদের ছোঁয়া পেয়ে আকাশ ছুঁই ছুঁই হয়েছিল সেদিন, একটি অহংকারের জায়গা হয়েছিল ফকিরহাটবাসীর, তাঁদের মধ্যে কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম ( মুকুল) এর নাম অন্যতম।
সৈয়দ আমিনুল ইসলাম ছিলেন এ কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ। ১৯৯৩ সালে প্রতিষ্ঠাকালীন সময় হতে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সময়কালে অত্যন্ত সক্ষমতার সাথে অধ্যক্ষ হিসাবে কলেজের একাডেমিক স্বীকৃতি এম.পি.ও. ভূক্তি, একাডেমিক ভবন, জমি অধিগ্রহণ, বি. এম. শাখা ও বি. এড. শাখার অনুমোদন, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পাশের হারে জেলার ভিতর সবচেয়ে জনপ্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রুপান্তরিত করতে সক্ষম করেছিলেন তিনি। সেই সাথে শিক্ষা ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা ছিল তার। চেয়েছিলেন একটি স্বত্যন্ত্র পাঠাগার করতে এবং শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়টি একটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে রূপ দিতে। কিন্তু তৎকালীন সময়ে কলেজের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে অধ্যক্ষের পদ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে প্রবাস জীবনে বাধ্য হন তিনি।
বাগেরহাট জেলার শতবর্ষী ঐতিহ্যবাহী অনেক কলেজকে টপকে শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয় মুকুল স্যারের হাত ধরে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরতে যাচ্ছিল বলে মন্তব্য করেন এলাকার কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিবর্গ। তারা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি সেই মহানুভব আর শিক্ষানুরাগী মানুষ গুলোকে যাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা আর সহোযোগিতায় অনুপ্রাণিত হয়ে সফলতা লাভ করেছিলেন তিনি।
আশাকরি বর্তমানে কলেজটিতে যেসব শিক্ষকবৃন্দরা আছেন তারা আবার আগের মত সুনাম আর ঐতিহ্য ফিরিয়ে নিয়ে আসবেন কলেজটির। এই কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ সৈয়দ আমিনুল ইসলাম মুকুল স্যারের প্রতিষ্ঠিত অতি যত্নে গড়া কলেজটি একদিন আবার মাথা তুলে দাড়াবে। ছাত্র ছাত্রীদের পদচারণায় আবার আগের মত ভরে উঠবে কলেজ চত্ত্বর। আগের মত সুনাম বয়ে আনবে।
শিক্ষকদের মধ্যে থাকবেনা কোন দ্বিধাদ্বন্দ্ব-অন্তর্কোন্দল যা সুশীল শিক্ষার মানোন্নয়নে বাধাগ্রস্ত হয়। আবারও জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হবে এই আশা ব্যক্ত করেছেন স্থানীয় ছাত্র-ছাত্রী এবং এলাকার সচেতন মহল। খান মোঃ আল আউয়াল, বাগেরহাট জেলা