মঙ্গলবার ২১ অক্টোবর পর্যন্ত ৪ কোটি আমেরিকান আগাম ভোট প্রদান করেছেন। ‘ইউএস ইলেকশন প্রজেক্ট’ সূত্রে এ তথ্য প্রকাশকালে বলা হয়েছে ওয়াশিংটন ডিসি সহ ৫ স্টেটে ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প এর চেয়ে কম ভোট পেয়েছিলেন। করোনা তাণ্ডবে সন্ত্রস্ত আমেরিকানরা ডাকযোগে অথবা সশরীরে নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে আগাম ভোট প্রদানকে স্বাস্থ্যবিধির পরিপূরক ভাবছেন বলেই আগাম ভোটের হিড়িক পড়েছে। ৩ নভেম্বর মূল নির্বাচনের একদিন আগে অর্থাৎ ১ নভেম্বর পর্যন্ত আগাম ভোট নেয়ার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহবান উপেক্ষা করে বিপুলসংখ্যক রিপাবলিকানও আগাম ভোটে অংশ নিচ্ছেন। এমনকি অনেকে ডাকযোগেও ব্যালট পাঠিয়েছেন। তবে ডেমক্র্যাটরা শীর্ষে রয়েছেন আগাম ভোটে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে যতভোট গৃহিত হয়েছিল, তার প্রতি ১০টির মধ্যেই ৩টি করে ইতিমধ্যেই গৃহিত হয়েছে বলে নির্বাচনী পরিক্রমায় পর্যবেক্ষণরত সংস্থাটি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।
সর্বশেষ নির্বাচনের আলোকে অনেকে মনে করছেন যে, মূল নির্বাচনের দিন ট্রাম্পের রিপাবলিকানরা অধিক হারে কেন্দ্রে আসবে এবং ট্রাম্পের বিজয় ত্বরান্বিত করবে। উল্লেখ্য যে, বিজয়ী না হলে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর না করার যে দম্ভ ট্রাম্প ইতিপূর্বে প্রকাশ করেছিলেন, তা থেকে পুরোপুরি সরে এসেছেন বলে মঙ্গলবার তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানান।
এদিকে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় ভিত্তিক বেশ কটি জরিপে ট্রাম্পের চেয়ে ১১% বেশী সমর্থনে রয়েছেন জো বাইডেন। বাইডেনকে সাপোর্ট করেছেন ৫৪% আমেরিকান। অপরদিকে ৪৩% ট্রাম্পের পক্ষাবলম্বন করেছেন। তবে বিজয় নির্ধারণী হিসেবে পরিচিত পেনসিলভেনিয়া, উইসকনসিন এবং মিশিগান স্টেটে বাইডেন ৮ পয়েন্ট করে এগিয়ে রয়েছেন। আরিজোনায় ৭ এবং ফ্লোরিডায় ৫ পয়েন্ট এগিয়ে আছেন ট্রাম্পের তুলনায়। সর্বশেষ বুধবার প্রকাশিত কুইনিপিয়াক ইউনিভার্সিটির দুটি জরিপেও ব্যাটেলগ্রাউন্ড স্টেট হিসেবে খ্যাত পেনসিলভেনিয়ায় বাইডেনের সমর্থন বেড়ে ৫১% হয়েছে। ট্রাম্পের হচ্ছে ৪৩%। ৫% এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় রয়েছে বলে জরিপকারিরা উল্লেখ করেছেন। ১৬ থেকে ১৯ অক্টোবরের মধ্যে চালানো হয় এ জরিপ। এতে অংশগ্রহণকারির ৫৬% মনে করছেন যে, করোনা পরিস্থিতি যথাযথভাবে মোকাবেলায় ট্রাম্প আন্তরিকতা প্রদর্শন করেননি।
বুধবার প্রকাশিত সিএনএন’র অপর জরিপেও পেনসিলভেনিয়া স্টেটে বাইডেনের প্রতি ৫৩% ভোটার সমর্থন জানিয়েছেন। ৪৩% বলেছেন যে, তারা ট্রাম্পকে ভোট দেবেন। এ জরিপ চালানো হয় ১৫ থেকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে।