দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার যে খাত, খোদ সেই খাতই ভয়াবহ অস্বাস্থ্যকর হয়ে গেছে দুর্নীতির ভয়াল বিষের ছোবলে। বিভিন্ন রকম দুর্নীতি দেখে দেখে যারা অভ্যস্ত, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সেসব কর্মকর্তাও বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছেন মানবসেবার মতো মহতী এ খাতে দুর্নীতির রকমফের দেখে; দুর্নীতিবাজদের বিপুল পরিমাণ বিত্ত-বৈভবের ফিরিস্তি দেখে। এর মধ্যে কিছু কিছু দুর্নীতি সিনেমা-নাটকের গল্পকেও হার মানায়। নিয়োগ-বদলি-পদোন্নতি, স্থাপনা নির্মাণ, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ওষুধ ও সরঞ্জাম সরবরাহ, রোগীর সেবা- সর্বত্র ছোবল হেনেছে সর্বগ্রাসী দুর্নীতি, নজিরবিহীন অনিয়ম। এসবের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও এর আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বড় বড় কর্মকর্তা থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী পর্যন্ত। স্বাস্থ্য খাতে এমন ৭৫ দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীর খোঁজ পেয়েছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে চলছে অনুসন্ধান।
এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যেই অভিযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের স্ত্রী-সন্তান-স্বজনসহ অর্ধশতাধিক লোকের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক। অন্যদের সম্পদের হিসাব বিবরণী তলবের বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন, বলছে দুদক সূত্র। সব মিলিয়ে দুদকে চলছে স্বাস্থ্য খাতের শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধান।
প্রাথমিক অনুসন্ধ্যান ও তদন্তে যেসব তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে বিস্মিত দুদকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অভিযুক্তদের অনেকেই পদ-পদবীতে উচ্চপর্যায়ের না হলেও পাহাড়সমান উচু অবৈধ সম্পদ ঠিকই বাগিয়ে নিয়েছেন। তাদের রয়েছে রাজকীয় ফ্ল্যাট-বাড়ি; রয়েছে বিলাসবহুল গাড়ি। দেদার সপরিবারে ঘুরছেন নানা দেশ। কেউ কেউ উন্নত দেশকে সেকেন্ড হোম বানাতে সেসব দেশের মাটিতে স্থায়ী নিবাসও গড়ে তোলার বন্দোবস্ত পাকা করে রেখেছেন। স্বাস্থ্য খাতের এসব দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারি হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারও করেছেন। তাদের এহেন অবৈধ সম্পদের খোঁজে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন দুদকের গোয়েন্দারা।
দুদকের এক কর্মকর্তা বলেছেন, দুদকের গোয়েন্দা শাখাসহ বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে ৭৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ও তাদের স্ত্রী-সন্তানসহ অর্ধশতাধিক লোকের কাছে সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়েছে। এর বাইরেও নকল-নিম্মমানের মাস্ক ও পিপিই ক্রয়সহ যন্ত্রপাতি ক্রয়ে অনিয়ম-দুর্নীতি, রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজিকে করোনা ভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবার সুযোগ প্রদানে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক মহাপরিচালক ও পরিচালকসহ (হাসপাতাল) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিএমএসডির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান ও তদন্ত চলছে।
দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য বলেছেন, স্বাস্থ্যখাতে যেসব দুর্নীতিবাজদের চিহ্নিত করা হয়েছে তাদের অনেকের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হবে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদকালে যাদের নাম আসবে এবং অভিযুক্তদের সাথে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেও অনুসন্ধান শুরু করা হবে।
দুদক সূত্র জানায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দুর্নীতিবাজ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের চিহ্নিত করতে ২০১৯ সালে মাঠে নামে দুদকের গোয়েন্দা শাখা। দুদকের একজন পরিচালকের নেতৃত্বাধীন একটি টিম দীর্ঘ অনুসন্ধানে ৪৫ জন দুর্নীতিবাজ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর তালিকাসহ একটি প্রতিবেদন দুদকে দাখিল করে। এছাড়া আরও ৩০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম আমাদের সময়কে বলেন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে তাদের বদলী করা ছাড়া তো ব্যবস্থা নেয়া যায় না। দুদক যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান করছে সেই বিষয়ে দুদক যদি আইনি ব্যবস্থা নেয় তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা চাকরীবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবো।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অফিস সহকারীসহ ৭৫ জন দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন থেকে সংস্থাটির পরিচালক (পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন/ গোয়েন্দা ইউনিট) নির্দেশনা দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার (এমএসআই) মো. রুহুল আমিন বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি সাবেক একজন মহাপরিচালককে ব্যবহার করে প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি করেন। তিনি কোন টেন্ডার করে কোটি কোটি টাকার কাজ হাতিয়ে নিয়ে কমপক্ষে ২০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন। ঢাকা ও ময়মনসিংহে তার বাড়ি, প্লট, ফ্ল্যাটসহ বিশালবহুল গাড়ি রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কবির চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি ২১ বছর ধরে প্রধান কার্যালয়ে চাকরী করেন। স্বাস্থ্য সহকারী থেকে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে পদোন্নতিপ্রাপ্তদের কাছ থেকে তিনি ২ থেকে আড়াই লাখ টাকা ঘুষ নেন। এছাড়া সেনিটারি ইন্সপেক্টর পদে আড়াই জনের পদোন্নতিকালে ব্যাপক ঘুষ-বাণিজ্য সংঘটিত হয়। এতে সাবেক পরিচালক এবিএম মাজহারুল ইসলাম, প্রধান সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন ও কবির চৌধুরী। এছাড়া স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন তদবির করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়ি চালক মো. আব্দুল মালেক সম্পর্কে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মচারী ইউনিয়নের স্বঘোষিত সভাপতি হয়ে ২০১০ সালে ৫০০ জনের নিয়োগ বাণিজ্য করে উত্তরার কামাড়পাড়ায় দুটি সাততলা বাড়িসহ নামে-বেনামে অনেক সম্পদের মালিক হন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী জাহাংগীর হোসেন হাওলাদারের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি ইপিআই এর গুরুত্বপূর্ণ ফাইল ডিল করতেন। জাহাংগীর হাওলাদার কর্মচারী সমিতির সভাপতি হয়ে এমন এক সিস্টেম তৈরি করেছেন কোনো অফিস সহকারীকে কর্তৃপক্ষ পদোন্নতি দিলে আর্থিকভাবে সুবিধা পেতেন। যারা পদোন্নতির আবেদন করতেন আগেই তাদের কাছ থেকে তার এজেন্টরা অর্থ আদায় করতেন। সমিতির নামে চাঁদা ও টেকনিশয়ান হিসেবে পদোন্নতির অর্থ আদায় করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
স্টেনোগ্রাফার মো. শাহজাহান ফকিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ বলা হয়েছে, তিনি চাকরীতে যোগদানের পর থেকে একই স্থানে থাকায় এবং একজন পরিচালকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হওয়ায় বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন করেছেন ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী (কমিউনিটি ক্লিনিক শাখা) মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। রংপুরে শত শত বিঘা জমিতে তার নামে সাইন বোর্ড ঝুলছে। তার অনেক জমিতে আলু ও ধান চাষ হয়। তিনি গেল বছর বর্গা ভাগে ২ হাজার মন ধান পেয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সহকারী মো. ইকবাল হোসেন মহাপরিচালকের একান্তভাজন হওয়ায় বিল বোর্ড সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। প্রয়োজন ছাড়াই বিল বোর্ড বানিয়ে কোটি কোটি লুটপাট করেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ক্যাশিয়ার (এডুকেশন শাখা) মো. খায়রুল হলেন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক চিহ্নিত দুর্নীতিবাজ আবজালের খালাতো ভাই। তিনি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টেন্ডার ও প্রকিউরমেন্ট খাতে তদবির করে বড় বড় কাজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দিতেন ঘুষের বিনিময়ে। এভাবে মো. খায়রুল ঢাকায় ৬টি বাড়ি করেছেন বলে অভিযোগ আছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচ্চমান সহকারী শরীফুল ইসলামের বাড়ি নাটোর জেলায়। তার বিরুদ্ধে ওষুধ চুরি করে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। তিনি ওষুধ বিক্রি করে কোটিপতি হয়েছেন। তিনি চোরাই ওষুধসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পার শাখার অফিস সহকারী মাসুদ করিম কমিশনের বিনিময়ে চিকিৎসকদের বদলী সংক্রান্ত কাজ করতেন। টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে থেকে তিনি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহামুদুজ্জামান অত্যন্ত ক্ষমতাবান কর্মচারী। তিনি বাসা বরাদ্দ নিয়োগ ও বদলী বাণিজ্যসহ সব ধরনের কাজ করে বিপুল পরিমাণ সম্পদ করেছেন। তার সম্পদের হিসাব তিনি নিজেই জানেন না। একই প্রতিষ্ঠানের স্টোর কর্মকর্তা মো. দোলোয়ার হোসেন স্টোরের মালামাল বুঝে না নিয়ে ঠিকাদারদের বিল প্রদানের কাগজপত্র প্রস্তত করার কাজ করতেন। তিনি বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন সম্পর্কে বলা হয়েছে তিনি ঠিকাদার মিঠু ও আফতাব উদ্দিন সিন্ডিকেটের সাথে সমান তালে কাজ করেন। তার গাজীপুরে অনেক ফ্ল্যাট-প্লটসহ ১০টি গাড়ি রয়েছে।
প্রতিবেদনে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়ম-দুর্নীতি ও তাদের সম্পদের প্রাথমিক তথ্য সন্নিবিশিত করা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে তাদের অনিয়ম-দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিস্তারিত সংগ্রহ করা হবে।
গত ২২ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে দুদকের সচিব মুহাম্মদ দিলওয়ার বখত বলেছিলেন, দুদক ২০১৯ সালে একটি টিম গঠন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনিয়ম-দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের চিহ্নিত করতে। দুদকের টিম অনুসন্ধান করে ৪৫ জনের একটি তালিকা প্রস্তুত করে। এই তালিকার যারা আছেন তাদের অভিযোগগুলো অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ২১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের স্ত্রী-সন্তানসহ ৪৩ জনের হিসাব বিবরনী দাখিলের নোটিশ দেয়া হয়েছে। বাকি যেই ২৪ জন রয়েছেন তাদের ও তাদের স্ত্রী-সন্তানের নামে-বেনামে থাকা সম্পদের হিসাব চাওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, এসব দুদকের অনুসন্ধানের বাইরেও করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মাস্ক, পিপিই, যন্ত্রপাতি ক্রয়ে দুর্নীতি, রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি চুক্তি নিয়ে দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত তাদের অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধান পর্যায়ে যদি এর সাথে জড়িত আরও কারো নাম উঠে আসে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনকারীদের নজরদারিতে রাখছি। ভবিষ্যতে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে। আমরা গোয়েন্দা শাখা করেছি। এই শাখাকে আরো শক্তিশালী করা হবে।
যে ৭৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দুদক
দুদকের পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মো. আব্দুল আওয়াল স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার মো. রুহুল আমিনসহ অধিদপ্তরের ৭৫ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগের বিষয়ে তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। উক্ত সিদ্ধান্ত অনুসারে অভিযোগের ছায়ালিপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে পাঠানো হলো। ওই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রোগ্রামার মো. রুহুল আমিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কবির চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ মুন্সী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা হুমায়ুন চৌধুরী, প্রশাসনিক কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন, প্রধান সহকারী জাহাঙ্গীর হোসেন হাওলাদার, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো, শাহজাহান ফকির, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু সোহেল, উচ্চমান সহকারী শাহনেওয়াজ, উচ্চমান সহকারী শরীফুল ইসলাম, ক্যাশিয়ার (এডুকেশন শাখা) মজিবুর রহমান ও মো. খায়রুল, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. হারুনুর রশীদ, অফিস সহকারী মো. হানিফ, মো. মাসুদ করিম, মো. আলাউদ্দিন, অফিস সহকারী (এনসিডিসি) মো. ইকবাল হোসেন, অফিস সহকারী (ইপিআই) মুজিবুল হক মুন্সী ও তোফায়েল আহমেদ, অফিস সহকারী (ডব্লিউএইচও শাখা) কামরুল ইসলাম, কমিউনিটি ক্লিনিক শাখার উচ্চমান সহকারী মো. আনোয়ার হোসেন, স্টেনো টাইপিস্ট সুনিল বাবু, স্টোর ম্যানেজার (ইপিআই) হেলাল তরফদার, অতিরিক্ত মহাপরিচালকের (বর্তমানে মহাপরিচালক স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর) গাড়ি চালক মো. আব্দুল মালেক, গাড়িচালক মো. শাহজাহান, সাবেক পরিচালক ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন ও অধ্যাপক আব্দুর রশীদ। মুগদা জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা কাফি, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রধান সহকারী মো. ফজলুল হক, একই হাসপাতালের হিসাবরক্ষক ইমদাদুল হক, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আলিমুল ইসলাম, ঢাকা মেডিকেল কলেজ সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, খুলনার শেখ আবু নাসের হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওয়াহিদুজ্জামান, জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মাহামুদুজ্জামান, একই হাসপাতালের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক সিদ্দিকী, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর কর্মকর্তা মো. দোলোয়ার হোসেন, একই হাসপাতালের সিনিয়র স্টোর কিপার মো. রফিকুল ইসলাম, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপার টিটু, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব সহকারী আব্দুল হালিম ও সুব্রত কুমার দাস, সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী আশিক নেওয়াজ, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের স্টোর কিপার মো. সাফায়াত হোসেন ফয়েজ, গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের সচিব মো. সাইফুল ইসলাম, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মো. জালাল মোল্লাহ, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাবরক্ষক মো. মারুফ হোসেন, রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিসের হিসাবরক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন এবং গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন।
তালিকায় আরও রয়েছে, বিভাগীয় পরিচালক (ঢাকা) সহকারী প্রধান মীর রায়হান আলী, একই অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফারুক হাসান, প্রধান সহকারী মো. আশরাফুল ইসলাম, প্রধান সহকারী মো. সাজেদুল করিম, উচ্চমান সহকারী মো. তৈয়বুর রহমান এবং মো. সাইফুল ইসলাম। বিভাগীয় পরিচালক (চট্টগ্রাম) অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. ফয়জুর রহমান, প্রধান সহকারী মো. মাহফুজুল হক, স্টেনোটাইপিস কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. আজমল খান, বিভাগীয় পরিচালক (ময়মনসিংহ) অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও প্রধান সহকারী মো, আব্দুল কুদ্দুস, বিভাগীয় পরিচালক (সিলেট) অফিসের প্রধান সহকারী মো. নুরুল হক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. গোস আহমেদ, উচ্চমান সহকারী মো. আমান আহমেদ ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো, নেছার আহমেদ চৌধুরী, বিভাগীয় পরিচালক (খুলনা) অফিসের ব্যক্তিগত সহকারী মো. ফরিদ হোসেন, অফিস সহকারী মো. মাসুম ও প্রধান সহকারী মো. আনোয়ার হোসেন। বিভাগীয় পরিচালক (বরিশাল) অফিসের প্রধান সহকারী মো. রাহাত খান ও উচ্চমান সহকারী মো. জুয়েল। বিভাগীয় পরিচালক (রংপুর) অফিসের উচ্চমান সহকারী মো. আজিজুর রহমান, স্টেনোগ্রাফার মো. সাইফুল ইসলাম ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম। বিভাগীয় পরিচালক (রাজশাহী) অফিসের প্রধান সহকারী মো. হেলাল উদ্দিন ও মো. মাসুদ খান।