বোরহান উদ্দিন , মো. আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ ও মো. অভি হোসেন। পড়ে ঢাকার তিনটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু এই পরিচয়ের আড়ালে তারা শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি করে ছড়িয়ে দেয়ার একটি আন্তর্জাতিক ভয়ঙ্কর চক্রের সদস্য। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী দুই ব্যক্তির অভিযোগের পর দীর্ঘ অনুসন্ধান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট (সিটিটিসি)। এরইমধ্যে আদালতেও তারা দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। তিন জনই শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরির কথা স্বীকার করেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহজাহানপুর, পল্লবী ও রামপুরা থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে মোবাইল ও কম্পিউটার ছাড়াও ৩০ জিবি ভলিউমের ৩ হাজার ৩১৬টি ফাইল জব্দ করা হয়।
এগুলোর মধ্যে ৪৫ জন ভিকটিমের নগ্ন ছবি রয়েছে। এরা সাধারণত ৯ থেকে ১৫ বছরের ছেলে-মেয়েদের টার্গেট করতো। এরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলে দেশের বাইরের শিশু পর্নোগ্রাফি তৈরি গ্রুপের সাথে যোগাযোগ করে। তাদের দেয়া নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলাদেশে কাজ করে। এই চক্র কখনও কখনও অবস্থাসম্পন্ন শিশুর অভিভাবকের কাছে কনটেন্ট পাঠিয়ে অর্থ হাতিয়ে নিতো। গ্রেপ্তারের পর একদিন রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়।