২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হবে না, মূল্যায়ন হবে ভিন্ন পদ্ধতিতে। ফলাফল জানানো হবে ডিসেম্বরের মধ্যে।
আজ বুধবার দুপুর ১টার দিকে ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়ে অনলাইনে ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এই অনলাইনে ব্রিফিংয়ে সংযুক্ত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, মূল্যায়নের জন্য জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফল বিবেচনায় নেওয়া হবে। এ বিষয়ে সার্বিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা বিভাগ পরিবর্তন করেছে, তারা মনে করতে পারে যে জেএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর মূল্যায়ন করলে তাদের মূল্যায়ন সঠিক হবে না। ফলাফল মূল্যায়নের বিষয়ে আমরা একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছি। এই কমিটিতে আমাদের মন্ত্রণালয়ের (শিক্ষা মন্ত্রণালয়) একজন অতিরিক্ত সচিব আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান, যিনি সকল বোর্ডের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন, তিনি এই পরামর্শক কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।’
কমিটির অন্যান্য সদস্যদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কমিটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েট, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন করে প্রতিনিধি এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ও মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি এই সকল বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এবছর ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করব। যাতে জানুয়ারি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুরু হতে পারে।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘অসুস্থতার কারণে হোক বা অন্য কোনো কারণে হোক তার পরীক্ষাটা ভালো নাও হতে পারত। হতে কী পারে, কী হতে পারত সেরকম অনেক প্রশ্ন থাকতেই পারে। সেগুলো সব বিবেচনায় নেওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের কাছে দুটি পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল আছে। এর বাইরে যদি অন্য কোনো ধরনের মূল্যায়নে যেতে হয়, সেটি এই ১৩ লাখ পরীক্ষার্থী নিয়ে এই মুহূর্তে, এই পরিস্থিতিতে যাওয়া সম্ভব নয়। আবার টেস্ট পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়নে নেব কিনা প্রশ্ন করতে পারেন। সেখানেও তো অনেক ধরনের সমস্যা আছে।’
‘এই মুহূর্তে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সেই ফলাফল নিতে গেলে সেখানেও নানান ধরনের জটিলতার উদ্ভব হতে পারে,’ বলে যোগ করেন তিনি।
মূল্যায়নে জেএসসি এবং এসএসসির কোনটি থেকে কত শতাংশ নম্বর নেওয়া হবে জানতে চাইলে মন্ত্রী জানান, সেটি পরামর্শক কমিটি সিদ্ধান্ত নেবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমরা তো আশা করছি এবার সমন্বিত পদ্ধতিতেই সকল ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিতে পারব। সেই পরীক্ষাগুলো কিভাবে হবে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করেই এবং তখনকার কোডিভ পরিস্থিতি বিবেচনায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’