আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী, অবিবাহিত দম্পতি (বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড) এবং গুরুতরভাবে অসুস্থ ব্যক্তির আত্মীয়-স্বজনদের জন্যে খুলে দেওয়া হয়েছে কানাডার সীমান্ত। শুক্রবার দেশটির পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। করোনাভাইরাস আতঙ্কে মার্চ থেকেই কানাডার সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করা হলেও এখনো পুরোপুরি খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
কানাডার পাবলিক সেইফটি মন্ত্রী বিল ব্লেয়ার বলেছেন, প্রতিদিনের পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যালোচনা করা হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুকূল বলে বিবেচিত হলেই খুলে দেওয়া হবে সীমান্ত। এখন শুধু পারিবারিক মিলনে প্রত্যাশীদের অনুমতি দেওয়া হবে কানাডায় আসতে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরাও কানাডায় ঢুকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকবেন।
কানাডার অভিবাসন মন্ত্রী মারকো মেন্ডিসিনো জানান, কানাডার তরুণ-তরুণীর সাথে দীর্ঘ সময় যাবৎ বন্ধুত্বপূর্ণ (বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড) সম্পর্ক রয়েছে, এমন বিদেশি জুটিকে কানাডায় আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। গুরুতরভাবে অসুস্থ অথবা কোনো কারণে আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন, এমন লোকজনের বিদেশি স্বজনকেও অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, কানাডার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়া আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীরাও কানাডায় আসার অনুমতি পাচ্ছেন। অভিবাসন দফতরের ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত আবেদনের নিয়ম জানা যাবে। নির্দিষ্ট ফরমও থাকবে সেখানে। ৮ অক্টোবর থেকে বিশেষ ক্যাটাগরির লোকজনের কানাডায় প্রবেশের অনুমতি কার্যকর করা হবে বলেও উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংবাদে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা সীমান্ত পুনরায় পুরোপুরিভাবে খুলে দেওয়ার ব্যাপারটি অনিশ্চিত হয়ে পড়লো বলে মনে করছেন উভয় দেশের নীতি-নির্ধারকরা।
উল্লেখ্য, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। এর আগে, প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর স্ত্রী সোফি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেই সময় ট্রাম্প ও মেলানিয়া তার খোঁজ-খবর নিয়েছিলেন।
ট্রুডো শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, মহামারির সময় যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে কানাডা কালক্ষেপণ করেনি। অত্যাবশ্যকীয় নয়, এমন ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘটনাটি করোনা সংক্রমণরোধে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। তবে অভ্যন্তরীণভাবে যতটা সংক্রমিত হয়েছে, সেটি নিজেদের চাল-চলনের মাধ্যমেই হয়। তাই সীমান্ত বন্ধ করার ঘটনাটিও গুরুত্বপূর্ণ ছিল করোনা ও সংক্রমণ রোধে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, সীমান্তে উপরোক্ত ইস্যুতে যে শিথিলতার নির্দেশ জারি হলো, সেটি সংক্রমণের ক্ষেত্রে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে বলে কেউ মনে করেন না। কারণ, যারা কানাডায় ঢুকবেন তাদের স্বাস্থবিধি মেনেই ছারপত্র নিতে হবে।