২৮ বছর আগে করসেবকরা ধ্বংস করেন বাবরি মসজিদ। দীর্ঘ প্রায় তিন দশক পর বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) আলোচিত সেই মামলার রায় ঘোষণা হলো লখ্নৌয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে।
রায়ে বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এলকে আদভানিসহ ৩২ আসামিই বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
সকাল থেকে এ রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা ভারত। সকালে মামলায় অভিযুক্ত মোট ৩২ জনের মধ্যে ২৬ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসেননি সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানি ও উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলি মনোহর যোশী, বিনয় কাটিহারসহ দু’জন। তবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে রায় দেওয়ার সময় আদালতে যুক্ত ছিলেন তারা।
রায়ে জানানো হয়, বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না। আচমকা ঘটেছে এ ঘটনা। সেখানে যে হাজারও করসেবক ছিলেন, তাদের মধ্যেই কেউ উসকেছে। এর সঙ্গে উচ্চস্থানীয় নেতারা জড়িত ছিলেন না। বরং নেতারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ঘটনা আচমকা ঘটায়, কেউ কোনোভাবে আটকাতে পারেননি।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর নানা নথি এবং লখ্নৌতে ২৫০ জন ও রায়বেলিতে ৫০ জন, সব মিলিয়ে ৩০০ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিল। তাতে কেউ বলেনি এ মসজিদ ভাঙার পেছনে কোনো নেতার হাত ছিল।
পাশাপাশি সেসময় লালকৃষ্ণ আদভানির মতো প্রথম সারির নেতা বলেছিলেন, তারা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের সঙ্গে জড়িত না। মসজিদের অনেক দূরে মঞ্চ বানিয়ে শুধু দলীয় কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন। ফলে আদালতের রায়ে ৩২ জন বেকসুর খালাস পান।