করোনাভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট দেওয়ার অভিযোগের মামলায় গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারী এ আদেশ দেন।
সোমবার আদালতে সাবরিনার আইনজীবী কারাগারে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, সাবরিনা গেজেটেড কর্মকর্তা। কারাবিধি অনুযায়ী তিনি ডিভিশন পাওয়ার অধিকারী।
সেই আবেদন আমলে নিয়ে বিচারক কারাবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। সাবরিনার আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে, এ দিন মামলাটিতে ইয়াসিন নামে একজন সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৪৩ সাক্ষীর মধ্যে পাচঁজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১১ অক্টোবর দিন ধার্য করেন।
সাবরিনা-আরিফুল ছাড়াও এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।
গত ২০ আগস্ট একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। ওইদিনই সাক্ষ্যগ্রহণর জন্য ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়। এরপর ২৭ আগস্ট বাদী কামাল হোসেনের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
গত ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী। অভিযোগপত্রটি দেখার পর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার হায়াত তা বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। এরপর বিচারের জন্য মামলাটি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাফুজ্জামান আনছারীর আদালতে আসে।
এই মামলার অভিযোগপত্রে সাবরিনা ও আরিফুলকে জালিয়াতি ও প্রতারণার মূলহোতা ও বাকি ছয়জনকে অপরাধে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
করোনার ভুয়া রিপোর্ট দানকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক ছিলেন। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেকেজির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে সাবরিনা আছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়।