ভোরের আলো ডেষ্ক: বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ যাছাই করতে স্বাস্থ্য অধিদফতর ও দেশের কয়েকটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১২ কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাদের স্বামী বা স্ত্রীসহ ২০ জনের সম্পদের হিসাব তলব করেছে দুদক।
সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরে তাদের ঠিকানায় সম্পদ বিবরণী ইস্যু করা হয়েছে।
নোটিশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের সবাইকে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব, পোষ্যদের নামে থাকা সম্পদের হিসাব দিতে বলা হয়েছে।
২০ জনের প্রতি সম্পদ বিবরণী দাখিলে নোটিশ প্রদানের বিষয়টি যুগান্তরকে নিশ্চিত করেন দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্রাচার্য্য।
গাড়িচালক আবদুল মালেক ছাড়াও যাদের সম্পদের হিসাব চাওয়া হয়েছে তারা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মজিবুল হক মুন্সি, তার স্ত্রী রিফাত আক্তার, অধিদফতরের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর তোফায়েল আহমেদ ভূইয়া ও তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার, গাড়িচালক আব্দুল মালেক ও তার স্ত্রী নার্গিস বেগম, গোপালগঞ্জ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ওবাইদুর রহমান ও তার স্ত্রী বিলকিস রহমান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের স্টাফ নার্স রেহেনা আক্তার, রংপুর মেডিকের কলেজ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক ইমদাদুল হক ও তার স্ত্রী উম্মে রুমান ফেন্সী, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (চলতি দায়িত্ব) মো. মাহমুদুজ্জামান ও তার স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন, গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টোর অফিসার নাজিম উদ্দিন ও তার স্ত্রী ফিরোজা বেগম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অফিস সহকারী (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) কামরুল হাসান ও তার স্ত্রী ডা. উম্মে হাবিবা, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের স্টেনোগ্রাফার-কাম-কম্পিউটার অপারেটর সাইফুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফদতরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী প্রধান পরিসংখ্যান কর্মকর্তা (পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়) মীর রায়হান আলী ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিসাব রক্ষক আনোয়ার হোসেন।
এই ২০ জনের মধ্যে গাড়িচালক আবদুল মালেককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক ৪টি ফ্ল্যাট, ১০টি প্লট, কামার পাড়ায় ১ বিঘা জমি, ১০ কাঠা জায়গার ওপর ৭ তলা বাড়ি ১০ তলা বাণিজ্যিক ভবন, গবাদি পশুর বৃহৎ খামার, মেয়ের নামে মাছের ঘের ও পরিবহন ব্যবসা রয়েছে। এই সম্পদের পরিমাণ প্রায় শত কোটি টাকা।
দদুক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন স্বাক্ষরিত এসব নোটিশে বলা হয়েছে, ২০০৪ সালের দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (১) দ্বারা অর্পিত ক্ষমতাবলে তাদের নিজের এবং তাদের উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে/বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দিতে হবে।
এ ছাড়া সবার দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী এই আদেশ প্রাপ্তির ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হলো।
নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে দুদক আইনের ২৬(২) উপধারায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।