২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে গণহত্যার খলনায়ক বেনজির শেষ পর্যন্ত আল্লামা আহমদ শফির প্রশস্তি গাইলেন! আল্লামা শাহ আহমদ শফীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, তিনি একজন সৎ এবং নির্ভীক আলেমে দ্বীন ছিলেন। অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে তার আপসহীন ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য ও তার ভক্ত অনুসারীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে ইসলাম বিদ্ধেষী নাস্তিক-মুরতাদদের শাহবাগে ফ্যাসিবাদি আন্দোলন প্রতিরোধের ডাক দেয়া হয়েছিল হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে। তখন হেফাজতে ইসলামের আমীর ছিলেন, আল্লামা আহমদ শফি। ২০১৩ সালের ৫ মে গভীর রাতে রাস্তার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে শাপলা চত্তরে অবস্থান নেয়া হেফাজত কর্মী-সমর্থকদের উপর সশস্ত্র অবস্থায় ঝাপিয়ে পড়েছিল তৎকালীন বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ। এই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন বিজিবি মহাপরিচালক, বর্তমান সেনাপ্রধান এম এ আজিজ, র্যাবের তৎকালীন উপ-প্রধান ও বর্তমানে মেজর জেনারেল জিয়া ও ঢাকার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বর্তমান আইজিপি বেনজির আহমদ। আজ আল্লাম আহমদ শফির ইন্তেকালে বেনজির আহমদ ভক্ত অনুসারীদের প্রতি আন্তরিক সমাবেদনা জানিয়েছেন। প্রশ্ন উঠেছে আল্লামা শফির ডাকে সারা দিয়ে শাপলা চত্তরে অবস্থান নেয়ার কারনে গণহত্যায় যেসব আলেম শহিদ হয়েছেন তাদের বিষয়ে কি বলবেন? তাছাড়া প্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হয়ে এই ধরনের বিবৃতি দেয়ার অধিকার আইজিপি বেনজির আহমেদ রাখেন কি না সেটা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আল্লামা আহমদ শফির তখনকার আপসহীন ভূমিকা অবশ্যই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। একই সাথে স্মরণীয় হয়ে আছে ৫ মে’ রাতে শাপলা চত্বরে গণহত্যায় বেনজিরের হত্যাকারীর ভুমিকাও।