আগাম ঘোষণা না দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় ভারত অনুতপ্ত বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ভারতের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। তবে, ভারত আগাম ঘোষণা না দিয়ে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুতপ্ত বলে আমাদের জানিয়েছে।
চলতি বছর ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে হঠাৎ করেই দেশে পেঁয়াজ আসা বন্ধ হয়ে যায়। তবে, ওই দিন রাতে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক অমিত যাদব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৯২ সালের ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য আইনের তিন ধারা অনুযায়ী পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ধরনের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে, পেঁয়াজের কুচি, পাউডার ও অন্যকোনো অবস্থায় পেঁয়াজ রপ্তানি অব্যাহত থাকবে। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন জারির পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়।
এর আগে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানিয়েছিলেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির নোটিশ আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই আমাদের দিল্লি, মিশন, দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। কারণ আমাদের মধ্যে অলিখিত কথাটি ছিল যে, ভারত অব্যাহতভাবে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে। তবে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যদি কোনো পরিবর্তন আনে, আগে থেকে আমাদের জানিয়ে দেবে। এই ধরনের বোঝাপড়ার মধ্যে আছে, এটা বন্ধু প্রতিম রাষ্ট্র হিসেবে। আমরা তাদের খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে এই সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। প্রত্যাশা করছি, এটার একটা ভালো ফলাফল পাবো।