মুজতবা আলীর জীবনবোধে দেশ বিদেশ

লিখেছেন ইমরান মাহফুজ

সাধারণ মানুষের মাঝে থেকে চিন্তার মন মননে উচ্চগ্রামে যারা বাস করেন ইতিহাস তাদের অসাধারণ বলে মনে রাখে। সমাজের স্রোত ও জীবনবোধের আকাশে তারা নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বল করে কাল থেকে কালান্তরে। পৃথিবীতে তাদের জন্ম-মৃত্যুর মাঝের সময়কাল ইতিহাসের অসামান্য দলিল বলে আখ্যায়িত হয়। সৈয়দ মুজতবা আলীর জীবন ও কীর্তি তেমনি একটি অধ্যায়।

যুগ শ্রেষ্ঠ এ মনীষী চেতনে অবচেতনে কখনো কারো সঙ্গে সাময়িক সুযোগ-সুবিধার জন্য আপোষ করেননি। ফলে দেখা যায় আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতির জাতীয় জীবনে মুজতবা আলীকে স্থির বা থিতু হতেও দেখেনি কেউ। দেশ-কালের পরিপ্রেক্ষিতে মানুষ পড়া, সত্যকে ধারণ, সতত মন, গভীর মূল্যবোধে এক জীবন তিনি উদযাপন করেছেন। নতুনভাবে নিজেকে আবিষ্কার করেছেন প্রতিনিয়ত। পরিবর্তনশীল রাষ্ট্র ব্যবস্থায় লিখেছেন শিক্ষা ও সংস্কৃতির মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায়।

বেছে নিয়েছেন রঙ্গরসে সমাজ সংকট নিয়ে লেখা ও বার্তা দেওয়াকে। হাস্যরসের মাধ্যমে এমন কাজ অত্যন্ত কঠিন। আমরা জানি মানুষকে হাসানো সহজ কাজ নয়। আর সেই কাজটি অতি সহজে করেছেন আবুল মনসুর আহমদ, শিবরাম চক্রবর্তী এবং তারপরেই সৈয়দ মুজতবা আলী।

তার রচিত সাহিত্য পড়ে বলা যায়, যে কোনো সহজ কিংবা জটিল বিষয় নিয়েই তিনি হাস্যরস করেছেন। অর্থাৎ অত্যন্ত গম্ভীর বিষয়কেও কায়দা করে উপস্থাপন করতেন রম্য ঢঙে। তাতে বিষয়টি হালকা হয়নি, বরং উপভোগ্য ও হৃদয়গ্রাহী হয়েছে। আর রম্য রচনার রস সহজে যাতে পাঠক আস্বাদন করে, একটু হলেও হাসির খোরাক যোগায়, সে চেষ্টাই জীবনভর তিনি করে গেছেন। বর্তমানের তথাকথিত আধুনিকতা নির্ভর সময়ে আমরা অধিকাংশই একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছি। এই একঘেয়েমি দূর করার জন্য হাস্যরস ও ব্যাঙ্গ সাহিত্য খুব প্রয়োজন।

একটা তুচ্ছ বিষয়ও মুজতবার আলীর হাতে পড়ে উপভোগ্য হয়ে উঠত। কী আড্ডায়, কী মজমায়, গল্পের চরিত্রে, প্রবন্ধে বা যেকোনো বক্তব্যে থাকতো গভীর জীবনবোধ। আর তা এসেছে দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞতায়। যেকোনো বিষয়ের ভাবনার গভীরতায় যাবার ক্ষমতা থেকে। পৃথিবীর প্রায় আঠারোটি ভাষা তার সাহিত্যকে করেছে সমৃদ্ধ। সমন্বিত জানা-বোঝার সমারোহে সমকালে অনেক উচ্চতায় অবস্থান করতেন তিনি। তার সাধনা, বুদ্ধির চমৎকার ব্যবহারে উপমাগুলোও কথা বলতো, গল্প তৈরি করতো। অনুভূতি ও চিন্তার জায়গায় পাঠককে সরস করতো বিশাল ক্যানভাসে।

তিনি ঘুরতেন আর ভাষা নিয়ে খেলতেন। ভাষা প্রসঙ্গে গোলাম মোস্তাকিমের সঙ্গে আড্ডায় শিক্ষণীয় একটা বিষয় বলেন, ‘আমি ছাত্র-ছাত্রীদের বলতাম, তোমার কোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে না চাইলে প্রথমে তোমার মাতৃভাষায় লিখবে, তারপর সেটা ইংরেজিতে অনুবাদ করবে। এর দুটো সুফল ফলবে। প্রথমত তুমি দুটো ভাষা শিখবে। দ্বিতীয়ত উত্তরটা তোমার নিজের হবে।’

তার এক ভাতিজা বলেন, ‘চাচার কথা ভাবলে একটা আক্ষেপ হয়। যে প্রতিভা, যে জ্ঞান তার ছিল, তার সিকি ভাগও তিনি লিখে রেখে যেতে পারেননি। ভয়ংকর উচ্ছৃঙ্খল ও অলস মুজতবা আলী, নিজেকে নিজেই ঠকিয়েছেন। ভীষণ অগোছালো মুজতবা নিজেই লিখেছেন, “হাঁড়িতে ভাত থাকলে সাঁওতাল কাজে যায় না, আর আমার ড্রয়ারে টাকা থাকলে আমি লিখি না।” চাচাকে একবার জিজ্ঞাসা করেছিলাম- আপনি এত বড় পণ্ডিত, একটা আত্মজীবনী লিখুন। চাচা হেসে বললেন, “পণ্ডিত মানে জানিস? যে সব পণ্ড করে তাকেই বলে পণ্ডিত।” কায়দা করে এড়িয়ে গেলেন।’

প্রায়ই মজা করে কথা বলতেন তিনি। সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী লেখেন- স্বাধীনচেতা মুজতবা আলী সারা জীবন এক ভবঘুরে জীবনযাপন করলেন। কোথাও স্থায়ীভাবে থাকলেন না। স্বাভাবিক জীবনযাপন করলেন না। পাকিস্তানের কট্টরপন্থীরা তাকে ‘ভারতের দালাল’ অপবাদ দিয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছিল। কলকাতায় জনপ্রিয়তা, সুনাম ও পুরস্কার সবই পেলেন। তবে কলকাতার রক্ষণশীল লেখক সমাজ তাকে ঈর্ষা করত। বলে বেড়াত যে, ‘মুজতবা আলীর ধর্ম নিরপেক্ষ উদার দৃষ্টিভঙ্গি একটা আইওয়াশ, আসলে আলী একজন ধুরন্ধর পাকিস্তানি এজেন্ট।’ এক দুর্বল মুহূর্তে চাচা দুঃখ করে তার গুণগ্রাহী বিখ্যাত লেখক শংকরকে বলেছিলেন, ‘এক একটা লোক থাকে যে সব জায়গায় ছন্দপতন ঘটায়, আমি বোধহয় সেই রকম লোক।’

খ.

মুজতবা আলীর পরিচয়ে দুটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য হচ্ছে রসবোধ ও প্রবল পাণ্ডিত্য। এমন প্রবল রসবোধের হবে না কেন? রবীন্দ্রনাথ প্রথম দেখায় যে ছাত্রকে বলেছিলেন, ‘ওহে, তোমার মুখ থেকে তো কমলালেবুর গন্ধ বেরোচ্ছে!’ সৈয়দ ছিলেন সিলেটের বাসিন্দা। আর সিলেট কমলালেবুর জন্য বিখ্যাত। সে কারণেই হয়তো এমন সম্ভাষণ। এবার আমরা শৈশবের দিকে আলো ফেলি। তার পিতার সরকারি চাকরি হওয়ায় মুজতবা আলীর প্রাথমিক শিক্ষাজীবন কাটে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ১৯২১ সালে বিশ্বভারতীর প্রথম দিকের ছাত্র হিসেবে শান্তিনিকেতনে ভর্তি হন। এখানে তিনি সংস্কৃত, ইংরেজি, আরবি, ফার্সি, হিন্দি, গুজরাটি, জার্মান ও ইটালীয় ভাষা শিক্ষা লাভ করেন। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে এখান থেকে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া শেষ করে দর্শনশাস্ত্র পড়ার জন্য বৃত্তি নিয়ে জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বে গবেষণার জন্য তিনি ডি. ফিল লাভ করেন ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে। ১৯৩৪-১৯৩৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি মিশরে কায়রোর আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন এবং ক্রমান্বয়ে ১৮টি ভাষা আয়ত্ত করেন। ভাষাজ্ঞান ও রম্য ঢঙ্গে সেই প্রজন্মে তিনি অবস্থান করেছেন এক ঈর্ষণীয় উচ্চতায়। এবার আসুন জীবনের দেয়াল টপকে দেখি- ‘পরবাস কীভাবে তাকে প্রভাবিত করেছে? অনেক উপায়ে- তাকে নিঃসঙ্গতা দিয়েছে, যা তাকে নিজের কাছে স্থিত অথবা অস্থিত করেছে; একসময় তাকে শুধু নিজের কাছেই জবাবদিহি করতে শিখিয়েছে। ফলে তার ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে যেসব অপূর্ণতা অথবা বিচ্যুতি ছিল, সেসব নিয়ে তিনি কোনো আক্ষেপ করতেন না। পরবাস তার অন্তর্দৃষ্টি খুলে দিয়েছে। সেই দৃষ্টিতে তিনি দেখেছেন বস্তু, প্রকৃতি ও মানুষের ভেতরের জীবন- ওয়ার্ডসওয়ার্থের ভাষায় the life of things। পরবাস তাকে শিখিয়েছে মানুষকে পড়তে, সহনশীল হতে এবং কৌতুক ও রসবোধের অস্ত্রটিকে সার্থকভাবে প্রয়োগ করতে। এক কথায় বলা যায়, মুজতবা আলীকে মুজতবা আলী হয়ে ওঠার জন্য এই পরবাসের প্রয়োজন ছিল।

পায়ের নিচে তার সরষে ছিল ছোটবেলা থেকেই। তা না হলে শান্তিনিকেতনে পড়ার ভূত তার মাথায় এমনভাবে চাপত না। শান্তিনিকেতন তো লাউয়াছড়া নয় যে মৌলভীবাজার থেকে দুই ঘণ্টায় একটা চক্কর দিয়ে আসা যায়। তার মুজতবা আলী হয়ে ওঠার জন্য শান্তিনিকেতনের বিকল্প ছিল না। রবীন্দ্র-সান্নিধ্যের বিকল্প ছিল না। আর মনেপ্রাণে তিনি ছিলেন বৈশ্বিক। তার মতো অসাম্প্রদায়িক মানুষ খুব কমই ছিলেন বঙ্গদেশে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্রের সঙ্গে তাকে আমি তুলনা করি। নেতাজির মতো অবিচল স্বদেশপ্রেম ছিল তার, যদিও বিশ্বের পথে পথে ঘুরে বেড়াতেই তার ছিল স্বাচ্ছন্দ্য। (প্রথম আলো : সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম)

অন্যদিকে প্রথম বিখ্যাত বইয়ের নাম দেশে বিদেশে রাখার পেছনে মুজতবা আলীর মনে কি কোনো বিশেষ ভাবনা কাজ করেছিল?  দেখা যায়- বইটির অংশবিশেষ ভারত থেকে খাইবার পাস পৌঁছাবার কাহিনী। সেটি আদতে তার স্বদেশের কথাই। আর আরেক অংশ জুড়ে কাবুল তথা আফগানিস্তানের আখ্যান। যা কিনা তার কাছে রাষ্ট্রীয় ও মানসিক– দুই দিক থেকেই বিদেশ। জনশ্রুতি আছে এই কারণেই বইয়ের নাম নির্ধারিত হয় দেশে বিদেশে। তিনি বহু-দেশ ভ্রমণ করেছেন, কর্মক্ষেত্রের পরিবর্তন করেছেন এবং বহু মানুষের সান্নিধ্য লাভ করেছেন। তাই তার লেখায় অনুরূপ বহুদর্শিতার প্রতিফলন ঘটেছে।

গ.

দেশে বিদেশে খ্যাত সৈয়দ মুজতবা আলী বলেন ‘বই কিনে কেউ কখনও দেউলিয়া হয় না’। কিন্তু শেষ জীবনে এসে ভালো বেকায়দায় পড়েছেন জীবন নিয়ে। পত্র-পত্রিকায় ও তার জবানি থেকে বলা যায়- যাপিতজীবন নিয়ে অস্থির অবস্থার মধ্যেই সৈয়দ কলকাতার পাট চুকিয়ে চলে গেলেন শান্তিনিকেতনে।

আরও বিস্তারিত জানতে সাহায্য নেই প্রাবন্ধিক মুহিত হাসানের। সম্ভবত কলকাতায় এত পরিচিত জন থাকা সত্ত্বেও তার কোনো কাজের ব্যবস্থা হলো না–এই বিষয়টি তার মনঃপীড়ার কারণ হয়েছিল। তাই নিজের তারুণ্যের চারণভূমিতে গিয়েই স্বস্তি পেতে চাইছিলেন। তিনি শান্তিনিকেতনের গুরুপল্লীতে একটি বাসা ভাড়া করে সেখানে থাকতে শুরু করেন ১৯৫৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। ওই মাসের ৮ ফেব্রুয়ারি অমলেন্দু সেনকে এক চিঠিতে ভয়ানক অভিমানের সঙ্গে লিখলেন: ‘চাকরি ছেড়ে দিয়ে এখানে একটি বাসা ভাড়া করে বাড়ি করেছি। অর্থাৎ এ স্থান আমি জীবনে ত্যাগ করতে চাইনে। …দিবারাত্র সেই প্রার্থনাই করছি। …এখানে এসেছি মৃত্যুর জন্য তৈরি হবার জন্য। পেটের ভাতের জন্য লিখতে হবে– সেইটুকু লিখবো। …এবং কোনোদিন যদি লেখা বন্ধ করেও পেটের ভাত জোটে তবে চেষ্টা করবো, বই-পড়া থেকে নিষ্কৃতি পাবার জন্য। …আমি এ জীবনে কলকাতা আর পারতপক্ষে যাবো না।

মুজতবার জীবন ব্যয় লেখালিখি থেকে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক দিয়েই মূলত নির্বাহ হতো। আর পকেটে টান পড়লে পরিচিত জনদের থেকে অর্থ ধার নিতেন। এমনটা মাঝেমধ্যেই ঘটতো। ১৯৫৯ সালের ১৯ ডিসেম্বর অবিনাশ চক্রবর্তীকে এক চিঠিতে লিখেছেন: ‘অত্যন্ত বিপদে পড়ে তোমাকে লিখছি। আমাকে পত্রপাঠ যদি T.M.O. করে একশতটি টাকা পাঠাও তবে বড় উপকৃত হই। সব কথা খুলে লেখার মতো আমার মনের অবস্থা নয়।…’ ১৯৬০ সালে দেশ পত্রিকায় তার শবনম উপন্যাসটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে শুরু করে। সেই বাবদ প্রাপ্তব্য পারিশ্রমিকের জন্যও তাকে বিখ্যাত সম্পাদক সাগরময় ঘোষের কাছে একাধিকবার চিঠি লিখতে হয়েছে।

অন্যদিকে শান্তিনিকেতনে যখন ছিলেন, নিদারুণ জীবনযাপন করেছেন। সে সময় ব্যক্তিগত মোটরগাড়ি বিক্রির টাকা দিয়েই চলতে হয়েছিল। এমনকি টাকা শেষ হয়ে গেলে সঙ্গে থাকা বাইসাইকেলটা বিক্রি করে দেবার কথাও ভেবেছিলেন। সে সময় শিলংয়ের লাবান এলাকার অধিবাসী সুনন্দা সেনকে লেখা পত্রে রম্য ভঙ্গিতে বলেছিলেন: ‘আমি যা জমিয়েছিলুম তা তো বিলেতে গিয়ে ফুঁকে দিয়ে এলুম। যত টাকা জমাইছিলাম/ শুঁটকি মৎস্য খাইয়া/সকল টাকা লইয়া গেল/গুলবদনীর মাইয়া।’

গুরুগম্ভীর বিষয়ও তার উপস্থাপনায় হয়ে উঠত রসগ্রাহী। সব মিলে বহুরকমের ভাষা থেকে শ্লোক ও রূপকের যথার্থ ব্যবহার, হাস্যরস সৃষ্টিতে দক্ষতার মধ্য দিয়ে গভীর জীবনবোধ ফুটিয়ে তোলার ক্ষমতা তাকে বাংলা সাহিত্যে এক বিশেষ মর্যাদার আসনে বসিয়েছে। যদিও তাকে কাঠখড় পুড়িয়ে, চড়াই-উৎরাই পার করতে হয়েছিল। জীবনে আর্থিক নিরাপত্তা বলতে যা বোঝায় সেটা কখনোই ছিল না। কখনো চাকরি, কখনো লিখে টাকা আয় করেছেন। অন্নদাশঙ্কর রায় এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘মুজতবা আলী শান্তিনিকেতনে সস্ত্রীক চাকুরী চেয়েছিলেন। কিন্তু আর্থিক কারণে তখন তাদের চাকুরী দেওয়া সম্ভব হয়নি। আনন্দবাজার গ্রুপও তাকে চাকুরী দেননি। পরে, শান্তিনিকেতনে মুজতবার চাকুরী হয়।’ শুধুমাত্র কলমকে ভরসা করে ১৯৫৭ থেকে ১৯৬১ সালের আগস্ট পর্যন্ত, হালভাঙা নৌকোয় টেনেটুনে নিজেকে চালিয়েছেন।

তার কথায় শেষ করি- জীবনই অভিজ্ঞতা, আর অভিজ্ঞতাই জীবন। অভিজ্ঞতা সমষ্টির নাম জীবন, আর জীবনকে খণ্ড খণ্ড করে দেখলে এক-একটি অভিজ্ঞতা। এক-একটি অভিজ্ঞতা যেন এক এক ফোঁটা চোখের জলের রুদ্রাক্ষ। সব কটা গাঁথা হয়ে যে তসবি-মালা হয় তারই নাম জীবন।

(ঋণস্বীকার: গোলাম মোস্তাকিম (প্রসঙ্গ অপ্রসঙ্গ), সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও মুহিত হাসান।)

ইমরান মাহফুজ : কবি ও গবেষক।

এমন আরো সংবাদ

একটি উত্তর দিন

দয়া করে আপনার মন্তব্য লিখুন !
দয়া করে এখানে আপনার নাম লিখুন

সর্বশেষ সংবাদ