লিখেছেন রেজাউল হক
1. Ticket:
আমরা টার্কিশ এয়ারলাইন্স এ টিকেট কেটেছি এক্সপিডিয়া থেকে, টিকেটের দাম পড়েছে CAD1500.00. টোটাল ট্রাভেল টাইম 20H 45 M. টরন্টো টু ইস্তানবুল 9H40M, ট্রানজিট 3H35M, ইস্তানবুল টু ঢাকা 7H30M, আমাদের আসার সময় ও ট্রানজিট টাইম দুই আড়াই ঘন্টার মতন।
2. Covid 19 Certificate:
টার্কিশ এয়ারলাইন্স এর রিকোয়ারমেন্ট হচ্ছে ডিপার্চার টাইম এর 72 আওয়ারস’এর ভেতরে কোভিড 19 নেগেটিভ টেস্ট রেজাল্ট অ্যারেঞ্জ করতে হয়। এই টেস্ট ওয়াক ইন বেসিস এ করা যায়, তবে আপনি চাইলে আগে বুক করেও করতে পারেন। আমাদের যেমন ডিপারচার ছিল শুক্রবার রাত 10:20 মিনিট এ, আমরা টেস্ট করতে 3030 বার্চমাউন্ট রোড সেন্টারে ওয়াক ইন বেসিসে গিয়েছিলাম বুধবার সকাল 9.00 টায়, 20- 25 জন লোকের একটা লাইন ছিল। ওরা পেপার সার্টিফিকেট বৃহস্পতিবার বিকালে দিয়ে দিয়েছে। টেস্টের সময় ওরা একটা ওয়েবসাইটের লিংক দেয় যেটা দেখে হেলথ কার্ড এর নাম্বার দিয়ে এক্সেস করে আপনি আপনার রেজাল্ট জানতে পারবেন, সেই রেজাল্ট স্ক্রিনশট নিয়ে প্রিন্ট করা যায় কিন্তু সমস্যা হচ্ছে ওই রেজাল্ট এ পেসেন্ট এর লাস্ট নাম থাকেনা, অনেক এয়ারলাইনস লাস্ট নাম ছাড়া ঐ সার্টিফিকেট নিয়ে সমস্যা করে। তাই হসপিটাল থেকে আমাদেরকে বলেছিল তোমরা পেপার সার্টিফিকেট হসপিটাল থেকে নিয়ে যেও। টেস্ট করতে যাবার সময় যার যার হেলথ কার্ড অবশ্যই নিয়ে যেতে হবে। সকাল সকাল চলে গেলে 30 থেকে 40 মিনিটের বেশি সময় লাগে না পুরো টেস্ট কমপ্লিট করতে। টেস্টের সময় ওরা জিজ্ঞেস করে এই টেস্টের পারপাস কি, ট্রাভেল-এর কথা বললে ওরা নোট নিয়ে রাখে, এবং ট্রাভেল টাইম জানতে চাই। যদিও ওরা সব সময় বলে টেস্টের রেজাল্ট দিতে 48 আওয়ার্স থেকে 72 আওয়ার্স সময় নেবে কিন্তু দেখা যায় ট্রাভেল রিলেটেড টেস্টগুলো 48 আওয়ার্স এ আগে অনেক সময় দিয়ে দেয়, যেমন আমরা বুধবার সকালে টেস্ট দিয়ে এসে বৃহস্পতিবার বিকালে ফিজিক্যাল কপি রেজাল্ট পেয়ে গিয়েছি। রেজাল্ট আনতে অ্যাডাল্ট পারসন প্রত্যেকের নিজেকে যেতে হবে হেলথ কার্ড নিয়ে। এই সার্টিফিকেটটা পিয়ারসন এয়ারপোর্ট এবং ঢাকা এয়ারপোর্টে দেখতে চায়। এত কিছুর পরেও আমরা কোভিড নাইনটিন সার্টিফিকেট নিয়ে পিয়ারসন এয়ারপোর্টে একটু সমস্যায় পড়েছিলাম। টার্কিশ এয়ারলাইন্স এর বোর্ডিং অফিসার আমাদের সার্টিফিকেট দেখে বললেন তোমরা টার্কিশ এয়ারলাইন্সের যে রিকোয়ারমেন্ট 72 ঘন্টা আগে সার্টিফিকেট নিতে হবে সেটা মিট করেছো, কিন্তু তোমাদের বাংলাদেশ যে নিয়ম করেছে তা হচ্ছে ল্যান্ডিং টাইম এর 72 ঘণ্টার মধ্যে সার্টিফিকেট কালেক্ট করতে হবে, সেই হিসেবে তোমরা যখন ব্যান্ড করবে তোমাদের সার্টিফিকেট টাইম 72 ঘন্টা exceed করবে। তারপর উনি তার সুপারভাইজারের সাথে কথা বলে আমাদের কাছ থেকে আরেকটা আন্ডারটেকিং নিলেন যাতে লেখা ছিল যদি ঢাকা এয়ারপোর্ট আমাদেরকে রিটার্ন করে দেয় সেটা আমাদের নিজ দায়িত্বে হবে, টার্কিশ এয়ারলাইন্স কোন দায়ভার নেবে না। ঢাকা এয়ারপোর্টের মেডিকেল সার্টিফিকেট এর রিকোয়ারমেন্ট টা নিচের মত করে দেয়া আছে:
“Medical certificate
On arrival in Bangladesh, all foreign nationals are required to produce a medical certificate issued within 72 hours of travel indicating the passenger is COVID-19 negative.”
3. টার্কিশ এয়ারলাইন্স:
যেমনটা শুনেছিলাম একটা সিট গ্যাপ দিয়ে দিয়ে তারা প্যাসেঞ্জার বসায়, ব্যাপারটা সেরকম ঘটে না। সিটিং অ্যারেঞ্জমেন্ট আগের মতই। তারা কোন ফেইস শিল্ড প্রোভাইড করে না, তবে একটা সেফটি কিট দেয় যাতে তিনটা মাস্ক এবং একটা ছোট স্যানিটাইজার থাকে। তবে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হচ্ছে meal গুলো। পুরো জার্নিতে দুইবার করে মোট চারটা meal দেয়, এবং প্রত্যেকবারই একটা ঠান্ডা স্যান্ডউইচ, একটা জুস, একটা কাপ কেক দেয়। খাবার দেখে মনে হতে পারে ডিটেনশন সেন্টারে কোন meal প্রোভাইড করতেছে তারা। তারা অবশ্য বলে যে covid এর কারণে meal type এরকম করা হয়েছে এবং শুনেছি অন্যান্য এয়ারলাইন্সও এই টাইপের ফুড প্রোভাইড করে।
4. ঢাকা এয়ারপোর্ট:
প্লেন থেকে নামার পরই একটা লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হয় যেখানে তারা কিছু covid সিমটম চেক, এই অংশটা একটু সময় লাগে। তারপরে আরেকটা কিউ তে দাঁড়িয়ে প্লেনে ফিলাপ করা কোভিদ রিলিটেড একটা কোশ্চেনইয়ার এবং কোভিড সার্টিফিকেটের কপি অফিসার কে দেখাতে হয়, সেখান থেকে ইমিগ্রেশন…. তারপর স্বপ্নের শহর ঢাকা।