কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলো সবার আগে টিকা পেতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। কানাডার সরকারও এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই।
দেশটির গণপরিষেবামন্ত্রী অনিতা আনন্দ বলেছেন, তাঁর দেশ টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সম্ভাব্য কোভিড-১৯ টিকা আগেভাগে পেতে আগ্রাসী প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
বর্তমান চুক্তি অনুযায়ী, আগামী বছরের শুরুর দিকেই কানাডায় টিকা সরবরাহ শুরু হবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি এ কথা বলেন।
কানাডার সরকার এ পর্যন্ত চারটি টিকা পেতে চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে। এর বাইরে আরও কয়েকটি টিকা নিয়ে দর-কষাকষি চালাচ্ছে দেশটি।
স্থানীয় টিকা তৈরির জন্য কানাডার পক্ষ থেকে বিনিয়োগ করা হলেও সেগুলো বেশি দূর এগোয়নি। কানাডা বর্তমানে মন্ট্রিলে নতুন টিকা উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি করছে।
মন্ত্রী অনিতা বলেন, কানাডায় টিকা সরবরাহের প্রকৃত সময় নির্ভর করছে টিকা নিয়ে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষাগুলোর ফলের ওপর। এর বাইরে নিয়ন্ত্রকদের অনুমোদন ও উৎপাদন সক্ষমতার বিষয়গুলো যুক্ত রয়েছে। অনুমোদনের বিষয়টি প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এরপর সরকার দ্রুত টিকা পেতে আলোচনা চালাবে।
রয়টার্সকে গণপরিষেবামন্ত্রী বলেন, ‘কোনো ভুল হবে না। কানাডার জন্য টিকা তৈরিতে সরবরাহকারীরা উৎপাদন সক্ষমতা সংরক্ষণ করে রাখবে। চুক্তি অনুযায়ী টিকা পেতে আগ্রাসী আলোচনা চালাচ্ছে কানাডা।’
টিকা পেতে কানাডা ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না, ফাইজার, নোভাভ্যাক্স ও জনসন অ্যান্ড জনসনের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তবে এগুলোর মধ্যে কোন কোম্পানির টিকা আগে পেতে কানাডা আলোচনা করছে, তা জানা যায়নি।
টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ফাইজার ও মডার্নার টিকাটি অনেকটা এগিয়ে রয়েছে।
মডার্না ও ফাইজারের টিকা ৩০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ দুটি টিকা শিগগিরই পাওয়া যাবে। ফাইজারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আগামী অক্টোবর নাগাদ তাদের টিকা পরীক্ষার ফল জানা যাবে। এরপর তারা টিকা অনুমোদনে আবেদন করতে পারবে।