সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে বলিউডে ড্রাগের গভীর সংযোগের রহস্য ক্রমশ ফাঁস হচ্ছে। এই কেসের অন্যতম মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তীর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ভিত্তিতে নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এরপর তাকে গ্রেপ্তার করে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে। বাইকুল্লা জেলের একটি সলিটারি সেলই আপাতত তাঁর ঠিকানা। রিয়ার ভাই শৌভিক চক্রবর্তীকেও এই কেসে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিয়া জামিনের আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেয়।
এনসিবির জেরাতে রিয়া বিটাউনের ২৫ জন তারকার নাম নিয়েছেন। তারা নিজেরা মাদক নিতেন বা ড্রাগ পার্টির আয়োজন করতেন বলে রিয়া জানিয়েছেন। এই ২৫ জন তারকার মধ্যে রিয়া বেশ কিছু নাম খোলাসা করেছেন। শুধু অভিনেতা নন, বলিউড ইন্ডাস্ট্রির নামজাদা প্রযোজক, পরিচালক এই মামলায় জড়িয়ে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই তদন্তে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনসিবির জেরার মুখে রিয়া সারা আলী খান, রাকুল প্রীত সিং, ডিজাইনার সিমোন খমবাট্টার নাম নিয়েছেন বলে দাবি ভারতের এক শীর্ষস্থানীয় চ্যানেলের। সুশান্তের থাইল্যান্ড সফরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সারার নাম।
রিয়া এনসিবিকে আগেও জানিয়েছিলেন যে ‘কেদারনাথ’ ছবির সেট থেকে সুশান্ত ড্রাগ নেওয়া শুরু করেন। এই বলিউড তারকার বক্তব্য, এই ছবির অনেক অভিনয়শিল্পী ড্রাগ নিতেন। রিয়া দাবি করেছিলেন যে সারা আলী খানও সুশান্তের মাদক সেবনের সঙ্গী ছিলেন। ডিজাইনার সিমোনের নাম ধরা পড়েছে রিয়ার ড্রাগ চ্যাটে। রিয়া এনসিবির জিজ্ঞাসাবাদের সময় আরেক বলিউড তারকা রাকুল প্রীত সিংয়ের নাম ফাঁস করেছেন। এনসিবি তাঁদের বিরুদ্ধে সব তথ্য–প্রমাণ সংগ্রহ করে সমন পাঠাবে।
এনসিবি আদালতকে জানিয়েছিল যে তাদের প্রারম্ভিক তদন্তে রিয়া বেশ কিছু বলিউড তারকার নাম ফাঁস করেছেন। বিটাউনের বেশ কিছু ব্যক্তিত্ব ড্রাগ র্যাকেটের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে এনসিবি। এই ড্রাগ র্যাকেটের মাধ্যমে বিশাল পরিমাণ আর্থিক লেনদেন হতো। এনসিবি এই এ-লিস্ট ড্রাগ র্যাকেটের পর্দা ফাঁস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। তারা এখন এই কেস–সম্পর্কিত সব তথ্য–প্রমাণ সংগ্রহ করতে ব্যস্ত।