জানা গেছে, ওই তরুণী প্রথমে নিজের হাতের বিমা করান। তাতে বলা হয়, কোনও কারণে হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে ক্ষতিপূরণ বাবদ এককালীন মোটা টাকার পাশাপাশি প্রতি মাসেও অর্থ পাবেন তিনি। যে পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকার সমান। এরপর নিজের এক সঙ্গী ও আরও দুই বন্ধুকে নিয়ে গোটা পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত করেন তিনি। একটি ধারাল অস্ত্র দিয়ে নিজেই নিজের হাত কেটে ফেলেন। এরপর হাসপাতালে যান সেই হাতটি ছাড়াই। যাতে তার হাত পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তিনি তিনগুণ টাকা পান। এদিকে এরপর খবর দেওয়া হয় বীমা কোম্পানিগুলোকেও। কিন্তু কোনওভাবে কাটা হাতটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন এক কর্মকর্তা।
এরপরই বেরিয়ে আসে প্রকৃত ঘটনা। এতে অনেকেই অবাক হয়ে যান। অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, টাকার জন্য নিজের হাত কীভাবে কেটে বাদ দিতে পারে একজন মানুষ?
এদিকে, এই ঘটনার কারণে উল্টো মামলা দায়ের হয় ওই তরুণীর বিরুদ্ধে। তদন্তও শুরু হয়। দেখা যায়, ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই পাঁচটি পৃথক কোম্পানিতে নিজের হাতের বীমা করিয়েছিলেন ওই তরুণী। আর এরপরই তাকে দু’বছরের এবং তার বন্ধুকে তিন বছরের জন্য সাজা শোনায় আদালত। সূত্র: বিবিসি, স্কাই নিউজ, এবিসি নিউজ
বিডি প্রতিদিন/কালাম