আসিফ নজরুল
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা ঘটনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল গত রাতে তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। এখানে তা তুলে ধরা হলো।
সিনহা হত্যাকান্ডে গ্রেফতার হয়েছিল ওসি প্রদীপ। তার সম্পর্কে বিস্ময়কর কিছু তথ্য পাওয়া গেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি রিপোর্টে।
প্রথম তথ্য হচ্ছে প্রদীপের কাছে সাড়ে ৭ লাখ টাকা দামের একটি ব্যক্তিগত ওয়াল্টার পিস্তল আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, সে পিস্তল কেনার টাকা জন্য এতো টাকা কোথায় পেল? সে এই পিস্তল দিয়ে যেসব মানুষকে গুলি করেছে, তার হিসেব নাকি জিডি করা আছে। কোথায় এসব জিডি?
দ্বিতীয় তথ্য, সে প্রটোকলের তোয়াক্কা না করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ফোন করেছে। এই কর্মকর্তাদের নাম কি? প্রদীপের বিভিন্ন হত্যাযজ্ঞ ও দায়মুক্ত থাকার বিষয়ে এদের ভূমিকা কি?
তৃতীয় তথ্য সবচেয়ে গুরুতর। তদন্ত কমিটি বলেছে যে নিয়ম ও আচরণবিধি ভেঙে একটি বিদেশি দূতাবাসে যোগাযোগ করেছে।
আমার প্রশ্ন একজন সামান্য ওসি-র সাথে বিদেশী দূতাবাসের যোগাযোগ থাকে কিভাবে? এ দূতাবাসটি কোন দেশের জানতে চাই। প্রদীপের ক্ষমতা, দম্ভ, দায়মুক্তির সাথে দূতাবাসটির সম্পর্ক্ কি?
পৃথিবীর যে কোন স্বাধীন ও সভ্য দেশে এসব প্রশ্নের উত্তর বের করতো সরকার। আমাদেরও এসব উত্তর জানা দরকার।
এরসঙ্গে নাগরিকদের নিরাপত্তা শুধু নয় দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নও জড়িত।