করোনাভাইরাসের কারণে আয় হারানো নাগরিকদের সহায়তা দিতে কানাডা সরকারের ‘ দ্যা কানাডা ইমার্জেন্সি রেসপন্স বেনিফিট’ (সিইআরবি)এর ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশিরভাগই পেয়েছেন উচ্চ আয়ের নাগরিকরা।
বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ফ্রেশার্স ইন্সটিটিউটের এক গবেষণায় চমকপ্রদ এই তথ্য উঠে এসেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিসটিক্স কানাডার তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণ করে ফ্রেশার্স ইন্সটিটিউট এ তথ্য জানিয়েছে।
সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসের সময় নাগরিকদের সহায়তা দিতে চাইল্ড ট্যাক্স বেনিফিঠখাতে যে বাড়তি অর্থ দেয়া হয়েছে তার অন্তত ৫০০ মিলিয়ন ডলার গেছে উচ্চ আয়ের পরিবারে।
করোনা মহামারির কারণে চাকুরি হারিয়েছেন বা আয় কমে গেছে- এমন নাগরিকদের সহযোগিতা দিতে ফেডারেল সরকার নানা ধরনের সহযোগিতা দিয়েছে।এর মধ্যে সিইআরবি হচ্ছে সবচেয়ে বড় আর্থিক সহযোগিতা। ২০১৯ সালে ন্যূনতম ৫ হাজার ডলার আয় ছিল, করোনার কারণে চাকুরি হারিয়েছেন বা আয় কমে গেছে তারাই সিইআরবির জন্য যোগ্য বিবেচিত হবে বলে সরকার ঘোষণা দেয়। কিন্তু ফ্রেশার্স ইন্সটিটিউটের বিশ্লেষণে দেখা যায়, সিইআরবির ২২ বিলিয়ন ডলারের বেশি পেয়েছে যাদের বাৎসরিক আয় ১০০ হাজার ডলারের বেশি।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, সিইআরবির ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি গেছে ১০০ হাজার ডলারের বেশি বার্ষিক আয় করেন এমন পরিবারের নির্ভরশীল সন্তানদের কাছে। আবার স্বামী বা স্ত্রীর একাউন্টে গেছে ৭ বিলিয়ন ডলারের মতো। মোট পারিবারিক আয়ের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা না থাকায় একই পরিবারের স্বামী, স্ত্রী, সন্তান সিইআরবির অর্থ পেয়েছেন- অথচ তাদের মোট পারিবারিক আয় ১০০ হাজার ডলারের অনেক বেশি।