বৈশ্বিক মহামারি করোনা গোটা বিশ্বকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। লাখ লাখ প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্যে হনেছে বিরাট আঘাত। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার বিমান ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। যদিও সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে সব শুরু হয়েছে, তারপরও আশঙ্কা রয়েই গেছে।
করোনা শুরুর পর গত মার্চে কানাডা ঘোষণা করে, নাগরিক বা বিমানের ক্রু সদস্য, কূটনীতিক এবং স্থায়ী বাসিন্দা নয় এমন কেউ দেশটিতে প্রবেশ করতে পারবে না। বিশেষত সীমান্তের পাশাপাশি দেশটির সরকার বহির্বিশ্বের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা কানাডিয়ানদের পরবর্তী নোটিশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের বাইরে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়াতে পরামর্শ দেয়। দেশটির সরকার অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবাও বন্ধ করে দেয়। এর পরিবর্তে স্থায়ী বাসিন্দা বা যাত্রীদের স্থল, রেল ও সমুদ্রপথে কানাডায় প্রবেশ করতে বলা হয়।
এয়ার কানাডা সূত্র জানায়, মহামারির কারণে বিমান শিল্প ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এরই মধ্যে তাদের কয়েক কোটি ডলার লোকসান হয়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় কানাডায় বিমান সংস্থার আয় কমেছে ৪৩ শতাংশ। এছাড়া গেলো মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে এ পর্যন্ত পাওয়া প্রচুর অভিযোগ জমা পড়েছে, যা নজিরবিহীন।
সূত্র আরও জানিয়েছে, তারা গত পাঁচ মাসে যে অভিযোগ পেয়েছে তা ২০১৮-২০১৯ সালের অভিযোগের থেকেও বেশি। করোনার কারণে ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় টিকিটের টাকা ফেরতসহ বেশ কিছু কারণে এই অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে।
উল্লেখ্য কানাডায় শুক্রবার সকাল পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৩২ হাজার ৫২৭ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ১৮৯ জন।