করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি শুরুর প্রাক্কালে গত মার্চ মাস থেকে কানাডার স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যায়। কয়েকমাস বন্ধ থাকার পর পুনরায় স্কুল চালু হয়েছে কানাডায়। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে রাখতে ইতোমধ্যেই নানা পদক্ষেপ নিয়েছে কানাডা সরকার ও কানাডার প্রাদেশিক সরকারের কর্তৃপক্ষ। উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যেই অভিভাবকরাও তাদের আদরের প্রিয় সন্তানদের স্কুলে ফেরত পাঠাতে শুরু করেছে।
এমনকি প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং তার স্ত্রী সোফি গ্রেগোয়ার ট্রুডো তাদের বাচ্চাদের স্কুলে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, যদিও ট্রুডো স্বীকার করেছেন যে তারা এখনও এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে লড়াই করছেন। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
প্রধানমন্ত্রীর সন্তানরা অন্টারিওর পাবলিক স্কুলে পড়েন। সন্তানদের স্কুলে ফেরত পাঠানো হবে কি না সেই বিষয়টি তাদের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বলে মন্তব্য করেন ট্রুডো।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে যে, আপাতত ট্রুডোর তিন সন্তান জেভিয়ার, এলা গ্রেস এবং হ্যাড্রিয়েন স্কুলে পড়াশোনা করছে।
অন্যদিকে অগস্টের মাঝামাঝি সময়ে সংসদের বর্ধনের ঘোষণা দেওয়ার সময় এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেছিলেন, স্কুলে ফিরে আসতে হবে কিনা সে সম্পর্কে তার পরিবার “অত্যন্ত সক্রিয় আলোচনার” মধ্যে ছিল। আমি জানি যে প্রচুর অভিভাবকরা তাদের স্থানীয় স্কুল এবং স্কুল বোর্ডের পরিকল্পনা কী হতে চলেছে তা যত্ন সহকারে দেখছেন।
তিনি আরো বলেছিলেন, আমরা স্কুলের পরিকল্পনা কী তা পর্যবেক্ষণ করছি, আমরা শ্রেণির আকারগুলো খুঁজছি, আমরা তাকিয়ে আছি যে বাচ্চারা মাস্ক পরা নিয়ে কেমন অনুভব করছে।
অন্যদিকে কানাডার কনজারভেটিভ দলের নেতা এরিন ও’টুল এবং তার স্ত্রী তাদের দুই বাচ্চাকে স্কুলে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করেছেন।
ও’টুল কানাডার স্থানীয় গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, আমাদের স্কুল এবং যে পরিকল্পনাগুলো করা হচ্ছে তার প্রতি আমার অনেক আস্থা রয়েছে।
ও’টুল আরো বলেন, বাচ্চাদের প্রতি বিচ্ছিন্নতা “খুব কঠোর” ছিল এবং তিনি মনে করেন যে শিক্ষার্থীরা যথাযথ সুরক্ষা প্রোটোকল রেখে যথাসময়ে স্কুলে ফিরে আসবে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে স্কুলগুলো নিরাপদে পুনরায় খুলতে সহায়তা করতে ফেডারেল সরকার ২ বিলিয়ন ডলার তহবিল ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে পুরো কানাডায় এই মুহূর্তে প্রচুরসংখ্যক অভিভাবক তাদের আদরের প্রিয় সন্তানদের স্কুলে গিয়ে ক্লাস করার চাইতে ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাস করানোর ওপরে গুরুত্ব দিচ্ছেন।