সিটির সঙ্গে বেশ লম্বা চুক্তিই করতে যাচ্ছেন মেসি! আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ইএসপিএনের সংবাদ জানাচ্ছে এমনই। সেটা হতে পারে কম পক্ষে পাঁচ বছর কিংবা তারও বেশি।
বয়সটা এখন ৩৩। শীর্ষ পর্যায়ে আর কতো দিন খেলতে পারবেন লিওনেল মেসি? বাস্তবতার চিন্তা করলে, দুই থেকে তিন বছর। কিন্তু এরপরই কি ধার হারিয়ে ফেলবেন মেসি? যে ছন্দে খেলছেন তাতে পরেও তাকে ধরে রাখতে চাইবে অনেক ক্লাবই। মেসিকে কিনে নেওয়ার ভাবনায় এমন সব বিষয় নিয়েও ভাবছে ম্যানচেস্টার সিটি। তাই মেসির সঙ্গে চুক্তিতে নিজেদের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান এমএলএসের ক্লাব নিউইয়র্ক সিটিকেও রাখতে চাইছে তারা।
যদি এমনটি হয় শুরুর তিন বছর খেলবেন ম্যানসিটিতে। এরপর বাকি সময়ে নিউইয়র্ক সিটিতে যোগ দিবেন রেকর্ড ছয় বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এ তারকা। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি সিটি ফুটবল গ্রুপের দূত হওয়ার সুযোগ থাকছে মেসির। এ গ্রুপে ম্যানসিটি ও নিউইয়র্ক সিটি ছাড়াও সারা বিশ্বে আরও বেশ কয়েকটি ক্লাবই রয়েছে।
২০০৮ সালে আবুধাবি ইউনাইটেড গ্রুপ ম্যানসিটি কিনে নেওয়ার পর ঘরোয়া ফুটবলে সাফল্য ভালোই পেয়েছে তারা। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এখনও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। সর্বোচ্চ সেমি-ফাইনালে থেমেছে তাদের দৌড়। এবার সে প্রত্যাশা মেসিকে ঘিরে পূরণ করতে চাইছে তারা। তবে মেসি বুট জোড়া তুলে রাখার আগে নিজের আরেক ক্লাব নিউইয়র্ক সিটিতে তাকে চায় গ্রুপটি।
আগের দিন মেসি বার্সেলোনা ছাড়তে চাওয়ার ঘোষণা দিলেও গত সোমবারই ম্যানসিটির সঙ্গে চুক্তির সম্ভাবনা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছিল ইএসপিএন। আরেক সূত্র অনুযায়ী, তারও দিন তিনেক আগেই পেপ গার্দিওলার সঙ্গে কথা হয় মেসির। বার্সা ছাড়তে চাইলে তাকে কিনে নেওয়ার সামর্থ্য ক্লাবটির রয়েছে কি-না তাও জানতে চান। সাবেক গুরুর দেওয়া সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই কঠিন সিদ্ধান্তটি নেন বার্সা অধিনায়ক।
ন্যু ক্যাম্প ছাড়ার গুঞ্জন শুরু হওয়ার পর থেকেই মেসিকে নজরে রাখে ম্যানসিটি। তবে উয়েফার ফেয়ার প্লে পলিসির কারণে বড় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না দলটি। বর্তমানে ২০২১ সাল পর্যন্ত বার্সার সঙ্গে চুক্তি রয়েছে মেসির। সেখানে রিলিজ ক্লজ রাখা হয়েছে ৭০০ মিলিয়ন ইউরো। তবে চাইলে নতুন মৌসুম শুরুর আগে চুক্তি বাতিল করার সুযোগ আছে তার। সে অনুযায়ী, এখন দেখার বিষয় বার্সা থেকে ফ্রি এজেন্ট হিসেবে বের হতে পারেন কি-না এ আর্জেন্টাইন তারকা।
মেসি অবশ্য আশা করছেন ফ্রি এজেন্ট হিসেবেই বের হবেন। চুক্তি অনুযায়ী জুন মাসের মধ্যে ক্লাব ছাড়ার কথা জানাতে হবে তাকে। কিন্তু এ বছর করোনাভাইরাসের কারণে মৌসুম শেষ হতে লেগেছে বাড়তি দুই মাস। যে কারণে মেসির আইনজীবীদের মতে আগস্টের মধ্যে ক্লাবকে জানালেই হবে। যদিও তা মানতে রাজী নয় কাতালান ক্লাবটি। তাই শেষ পর্যন্ত মীমাংসা হতে পারে কোর্টে।