ঝড়খণ্ডের পালামৌ জেলার এক কোভিড সেন্টারে মুখ বেঁধে ধর্ষণ করা হল মহিলা কনস্টেবলকে। তিনি ওই কোভিড সেন্টারে ডিউটিতে ছিলেন। অভিযুক্তও একজন পুলিশকর্মী। তিনিও ডিউটিতে ছিলেন। সোমবার রাতেই ওই কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হাইলাইটস
- ঝাড়খণ্ডের কোভিড সেন্টারে ধর্ষণ
- ধর্ষিতা একজন মহিলা পুলিশকর্মী
- সেখানে মুখে বেঁধে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়
- অভিযুক্তও পুলিশ কনস্টেবল
- তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক: কর্তব্যরত অবস্থায় সহকর্মী মহিলা কনস্টেবলকে ধর্ষণের অভিযোগে ঝাড়খণ্ডের পালামৌ জেলা পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণে ধৃত ওই কনস্টেবলকে আদালতের নির্দেশে আপাতত জেলে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ তদন্তও শুরু করেছে।
জামশেদপুরের সিধগোরা থানার অন্তর্গত সিধগোরা প্রফেশনাল কলেজটি বর্তমানে কোয়ারানটিন সেন্টার। সেখানেই কর্তব্যরত ওই মহিলা পুলিশ কনস্টেবলকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত অনিল কুমারকে সোমবার রাতেই গ্রেফতার করা হয়। ধর্ষণের মামলায় মঙ্গলবার তাকে আদালতে পেশ করা হলে, বিচারকের নির্দেশে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়।
নিগৃহীতার অভিযোগ থেকে জানা গিয়েছে, সিধগোরা প্রফেশনাল কলেজের কোয়ারানটিন সেন্টারে ওই মহিলা কনস্টেবলকে তিন দিন আগে ধর্ষণ করা হয়েছিল। ঘটনার সময় দু’জনেই ডিউটিতে ছিলেন। যদিও, ঘটনার পরপরই অভিযোগ না করে, সোমবার থানায় সহকর্মীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন।
সিধগোরা থানার ওসি মনোজ ঠাকুর জানান, অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ৩৭৬ (২) ধারায় এফআইআর রুজু হয়েছে। মঙ্গলবার নির্যাতিতা মহিলা কনস্টেবলের মেডিক্যাল পরীক্ষাও করানো হয়েছে। যদিও রিপোর্ট এখনও মেলেনি। এ ছাড়া এক্স-রে সহ অন্যান্য পরীক্ষা হবে আজ, বুধবার (২৬ অগস্ট)।
ওসি মনোজ ঠাকুর এদিন বলেন, ‘আমরা এরই মধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছি। মেডিক্যাল রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’
থানা সূত্রে খবর, অনিল কুমার ও ওই মহিলা কনস্টেবল গোলমুড়ি পুলিশ লাইনে কর্মরত। দু’জনকে কোয়ারানটিন সেন্টারে ডিউটি দেওয়া হয়েছিল। মহিলা কনস্টেবলের স্বামী ঝাড়খণ্ড পুলিশেই চাকরি করতেন। পালামৌ জেলায় কর্তব্যরত অবস্থায় তিনি মারা গেলে, তিনি মানবিকতার খাতিরে রাজ্য পুলিশে কনস্টেবলের চাকরি পান।
নিগৃহীতা কনস্টেবল জানিয়েছেন, যৌতুকে মৃত্যুর মামলায় অভিযুক্ত এক মহিলাকে গ্রেফতারের পর ২০ অগস্ট কলেজের ওই কোয়ারানটিন সেন্টারে আনা হয়েছিল। যে কারণে তাঁরও সেখানে ডিউটি পড়ে। ওই কোভিড সেন্টারে ডিউটিতে ছিলেন অভিযুক্ত কনস্টেবলও। মহিলা কনস্টেবলকে তিনি জানান, কোয়ারানটিন সেন্টারের নীচের ঘরগুলি সুরক্ষিত নয়। ভাইরাস সংক্রমণের প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। উপরের ঘরগুলি সেই তুলনায় অনেকটাই নিরাপদ। সহকর্মীর কথায় বিশ্বাস করে, তিনি উপরের ঘরে যান। কিন্তু, সেখানে একটি ফাঁকা ঘরের মধ্যে তাঁকে জোর করে ধর্ষণ করা হয়। যাতে না চেঁচাতে পারেন, তার জন্যে মুখে কাপড় দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবলের বক্তব্য অবশ্য জানা যায়নি।