যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টনে ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘ চল্লিশ দিন চিকিৎসাধীন থেকে অবশেষে মারা গেলেন ডাকাতের গুলিতে গুরুতর আহত বাংলাদেশি যুবক তানজিম সিয়াম।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় শনিবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
গত ১৪ জুলাই রাত ৯টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টনের কাছে রক্সবুরিতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি মুদি দোকানে ঢুকে তানজিম সিয়ামকে (২৩) অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র ও অর্থ হাতিয়ে নেয় স্টেফুন সামুয়্যেল (২৫) নামের এক দুর্বৃত্ত। পরে সে দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সিয়ামের মাথায় দুটি গুলি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুতর আহত সিয়ামকে দ্রুত ম্যাসাচুসেটস জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।
এরপর বোস্টনের প্রবাসী বাংলাদেশিদের অব্যাহত আন্দোলনের মুখে তিন সপ্তাহ পর বোস্টন পুলিশ স্টেফুন সামুয়্যেলকে (২৫) গ্রেপ্তার করে। পরে স্টেফুনের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্রের মাধ্যমে সশস্ত্র ডাকাতি ও খুনের অভিপ্রায় নিয়ে সশস্ত্র হামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থী ভিসায় চলতি বছরই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তানজিম সিয়াম। পড়াশোনা শুরুর আগে পরিবারকে সহায়তার উদ্দেশে চার মাস আগে বোস্টনের কাছে রক্সবুরিতে এম অ্যান্ড আর কনভেনিয়েন্স স্টোর নামে বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি মুদি দোকানে কাজ শুরু করেন তিনি। গত ১৪ জুলাই গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই হাসপাতালে কোমায় ছিলেন সিয়াম।
এদিকে ডাকাতের গুলিতে গুরুতর আহত তানজিম সিয়ামকে দেখতে গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ছুটে আসেন তানজিমের মা-বাবাসহ দুই সহোদর। নিহত তানজিম সিয়ামের বাড়ি বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলায়। তার অকাল মৃত্যুতে বোস্টনসহ যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা পৃথক পৃথকভাবে শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।