ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার ঢাকা সফর নিয়ে অন্তহীন কৌতুহল। দিনভর তিনি ঢাকায় ব্যস্ত কর্মসূচীতে কাটিয়েছেন। তবে নিঃশব্দে। সন্ধ্যায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। সরকার প্রধানের সরকারী বাসভবনে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ওই সাক্ষাৎ-বৈঠকটি হয়। সেই বৈঠকের আলোচ্য বিষয় নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ব্রিফিং হয়নি। ফলে নানা সূত্রে নানা খবর চাউর হয়েছে। ভারতীয় মিডিয়া বলছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ দূত হিসাবে শ্রিংলা একটি বিশেষ বার্তা হস্তান্তর করেছেন।
গণভবনে সরকার প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তিনি তার হাতেই বার্তাটি পৌছান। কিন্তু ঢাকার অন্য সূত্র বলছে, বার্তা হস্তান্তর হয়েছে, কিন্তু তা কাগজে নয়, মৌখিক। এ-ও বলা হচ্ছে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ, মিয়ানমারের জাতীয় নির্বাচন এবং সম্প্রতি প্রকাশিত একজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার বহুল আলোচিত সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গ নাকি আলোচনায় স্থান পেয়েছে। কিন্তু বিস্ময়কর বিষয় হলো হাই প্রোফাইল বৈঠক প্রশ্নে ঢাকার তরফে কিছু বলা হয়নি। তবে ভারতীয় হাই কমিশনার কথা বলেছেন। নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা ঢাকার নীরবতার রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু তারাও কূলকিনারা করতে পেরেছেন মর্মে কোনো প্রমাণ মিলেনি।
খুব শিগগির পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক: এদিকে একটি সুত্র জানিয়েছে, খুব শিগগির পররাষ্ট্র মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠকে আগ্রহ দেখিয়েছে ভারত।
আকাশপথে ব্যবসায়ী ও রোগীদের চলাচলের নতুন প্রস্তাবও দিয়েছে দিল্লি। সব মিলে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার বার্তাই স্পষ্ট করেছেন বিদেশ সচিব।
হাই কমিশনের তরফে সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের স্বল্প সংখ্যক প্রতিনিধিকে ব্রিফ করা হয়েছে বিদেশ সচিবের আলোচনার বিষয়ে। বলা হয়েছে, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চায় ভারত। দিল্লির ঢাকার সঙ্গে মিলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের মত কঠিন চ্যালেঞ্জ একসঙ্গে মোকাবিলা এবং কোভিড-১৯ পরবর্তী অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে পারস্পরিক সহযোগিতায় আগ্রহী ভারত। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অনেক বেশি ঘনিষ্ঠ উল্লেখ করে বলা হয়, ভারতের পররাষ্ট্রসচিবকে করোনা মহামারীর এই সময়ে অনানুষ্ঠানিক এই সফরে পাঠিয়ে সম্পর্কের গভীরতার বার্তা পাঠালেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঢাকা সফরের আলোচনায় তিনি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়েই কথা বলেছেন এবং কাল বলবেন।