দাতব্য সংগঠনের টাকায় পরিবারসহ বিদেশ ভ্রমণ করে সমালোচনার মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার অর্থমন্ত্রী বিল মর্নো। দাতব্য প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর পরিবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন। খবর বিবিসির।
মর্নো উই চ্যারিটি নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে কর্মকাণ্ড দেখতে পরিবার নিয়ে কানাডা থেকে কেনিয়া এবং ইকুয়েডর যান মনরো। পরে জানা যায়, ওই সফরের কোনো খরচ তিনি পরিশোধ করেননি। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় ট্রুডোর মন্ত্রিসভার এই সদস্যকে।
মর্নো স্বীকার করেছেন যে, সম্প্রতি উপলব্ধি করেছেন যে তিনি দাতব্য প্রতিষ্ঠানটিকে ৪১ হাজার ডলার পরিশোধ করেননি।
এই দাতব্য প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারও সমালোচনার মুখে পড়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর এক মেয়ে এই চ্যারিটির বেতনভুক্ত কর্মী।
মর্নো জানিয়েছেন, লিবারেল পার্টির মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করার পাশাপাশি তিনি সংসদ থেকেও পদত্যাগ করছেন।
সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই পদের জন্য আমি নিজেকে আর উপযুক্ত মনে করছি না।’
‘প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমি জানিয়েছি যে সামনের নির্বাচনে লড়ার ইচ্ছা আমার নেই। ফেডারেল নির্বাচনে দুইবারের বেশি দাঁড়ানোর পরিকল্পনা কখনোই আমি করিনি।’
গত জুনে শিক্ষার্থীদের জন্য উই চ্যারিটি নামের ওই প্রোগ্রাম চালু করে কানাডা প্রশাসন। অলাভজনক এই প্রোগ্রামের আগের নাম ছিল ফ্রি দ্য চিলড্রেন। সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী, এই প্রজেক্টে ৪৩.৫ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ছিল।
কিন্তু কিছুদিন আগে জানা যায়, এর সঙ্গে ট্রুডো এবং মর্নোর ব্যক্তিগত অন্তর্ভুক্তি আছে।