নাহ্! চীনের হেনান প্রদেশের এই ব্যক্তি কোনো দিন চাইবেন না তাঁর ভুঁড়ি কমুক। চাইবেন না ছিপছিপে, মেদহীন চেহারা, বরং আজীবন এই ভুঁড়ির জন্য গর্ব হবে তার। পেটে অতিরিক্ত মেদ জমে যাওয়ার ফলে অনেকেই কসরত করে সেই মেদবহুল পেট কমানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তিনি চাইবেন, থাকুক থলথলে পেট, বেঁচে থাকুক মেদ। কারণ, মেদ থাকলেই তিনি থাকবেন। এই ভুঁড়িই তার জীবন বাঁচিয়েছে। তাই একে হয়তো ছাড়বেন না কোনো দিন।
হেঁচকি উঠল তো ? ভুঁড়ি আবার জীবন বাঁচাবে কী করে? তবে গোড়া থেকেই বলা যাক! গল্প শুনলে চমকে যেতে হবে। চীনের হেনান প্রদেশে বাড়ি ২৮ বছরের লিউয়ের। পরিবারের সঙ্গে থাকেন তিনি। নিত্যদিনের পানি ব্যবহার করার জন্য তাদের বাড়িতে একটা ছোটখাটো কুয়ো আছে। সেই কুয়োয় ঢাকনা দেয়াই ছিল।
কিন্তু সেদিন কী হলো কে জানে, বড়সড় কুয়োর ওপর লিউ দাঁড়াতেই দুম করে ভেঙে গেল ঢাকনা। আচমকা ঢাকনা ভাঙতে কুয়োর মধ্যে তলিয়েই যাচ্ছিলেন লিউ, মোক্ষম মুহূর্তে এ’যাত্রার মতো বাঁচিয়ে দিলো তার ভুঁড়ি। কুয়োর মুখে যে গোলাকার এলাকা, তার থেকে লিউয়ের ভুঁড়ির মাপ বেশি। তাই কুয়োর মুখে একেবারে খাপে খাপে আটকে গেলেন তিনি। কারণ, ভুঁড়ি আটকে গেল সেখানে। আর তাতেই শেষ পর্যন্ত প্রাণে বাঁচলেন। অর্ধেক ভিতরে আর অর্ধেক বাইরে হয়ে আটকে রইলেন তিনি।
Ad by Valueimpression
এরপর ঘটনাস্থলে হাজির হল পুলিশ, দমকল। শেষে কোমরে দড়ি পড়িয়ে লিউকে টেনে তুললেন তারা। দমকল জানিয়েছে, সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন লিউ। শরীরে কোথাও তার আঘাত লাগেনি। শুধু কোমরে সামান্য চোট পেয়েছেন। কিন্তু এভাবে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন, এটা ভাবলেই সব ব্যথা ভুলে ঠোঁটে হাসি ফুটে উঠছে তার। লিউয়ের ভুঁড়ি তাহলে অকাজের নয়, সেটা এত দিনে প্রমাণিত হয়েছে হাতেনাতে।