সিলেট সিটি করপোশেনের পরিধি বাড়াতে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (৯ আগস্ট) সিলেটের জেলা প্রশাসক এম. কাজী এমদাদুল ইসলাম সাক্ষরিত এই গণবিজ্ঞপ্তিটি জারি করা হয়।
গণবিজ্ঞপ্তিতে সিলেট সদর ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার বেশ কিছু এলাকাকে সিলেট সিলেট সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর থেকেই আলোচনা দেখা দিয়েছে কোন কোন এলাকা আসছে নগরের ভেতরে।
গণবিজ্ঞপ্তি অনুসারে সিলেট সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভুক্ত হতে যাওয়া এলাকাগুলো হল- সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের কুমারগাঁও, মইয়ারচর (দাগ নম্বর ৭৭, ৮২, ৮৩, ৮৯, ৯০, ৯১ ব্যাতীত) টুকেরবাজার ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত ভূমি, খুরুমখলা শাহপুর, আখালিয়া (পূর্বে সিটি করপোরেশন অন্তর্ভুক্ত অংশ ব্যাতীত অবশিষ্ট ভূমি)।
খাদিমনগর ইউনিয়নের কুমারগাঁও, খাদিমপাড়া ইউনিয়নের সাদিপুর ১ম খন্ড ( পূর্বে সিটি করপোরেশন অন্তর্ভুক্ত অংশ ব্যাতীত অবশিষ্ট ভূমি), টিলাগড়, দেবপুর (পূর্বে সিটি করপোরেশন অন্তর্ভুক্ত অংশ ব্যাতীত অবশিষ্ট ভূমি), কসবা কুইটুক, সুলতানপুর চক, পেশনেওয়াজ।
টুলটিকর ইউনিয়নের সাদিপুর ১ম খন্ড (পূর্বে সিটি করপোরেশন অন্তর্ভুক্ত অংশ ব্যাতীত অবশিষ্ট ভূমি), টিলাগড়, দেবপুর (পূর্বে সিটি করপোরেশন অন্তর্ভুক্ত অংশ ব্যাতীত অবশিষ্ট ভূমি)।
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের হবিনন্দি (পূর্বে সিটি করপোরেশন অন্তর্ভুক্ত অংশ ব্যাতীত অবশিষ্ট ভূমি), মনিপুর (পূর্বে সিটি করপোরেশন অন্তর্ভুক্ত অংশ ব্যাতীত অবশিষ্ট ভূমি), আলমপুর (পূর্বে সিটি করপোরেশন অন্তর্ভুক্ত অংশ ব্যাতীত অবশিষ্ট ভূমি), গোটাটিকর (পূর্বে সিটি করপোরেশন অন্তর্ভুক্ত অংশ ব্যাতীত অবশিষ্ট ভূমি)।
বরইকান্দি ইউনিয়নের পিরিজপুর, ধরাধরপুর, বরইকান্দি (পূর্বে সিটি করপোরেশন অন্তর্ভুক্ত অংশ ব্যাতীত অবশিষ্ট ভূমি), গোধরাইল ( পূর্বে সিটি করপোরেশন অন্তর্ভুক্ত অংশ ব্যাতীত অবশিষ্ট ভূমি)।
তেতলী ইউনিয়নের ধরাধরপুর, বরইকান্দি (অবশিষ্টাংশ) (পূর্বে সিটি করপোরেশন অন্তর্ভুক্ত অংশ ব্যাতীত অবশিষ্ট ভূমি), বলদী (আংশিক)।
গণবিজ্ঞপ্তি জারির বিষয়য়টি নিশ্চিত করে সিলেট জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার শামমা লাবিবা অর্ণব বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের এলাকা সম্প্রসারণের জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার শাখা থেকে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভূক্ত করার জন্য প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের কোনো পরমার্শ বা অভিযোগ থাকলে আগামী ৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে জানানোর জন্য বলা হয়েছে গণবিজ্ঞপ্তিতে।