রাজীব আহসান, কানাডা থেকে
নতুন নিয়মে সরাসরি খামার থেকে গ্রাহকদের কাছে মাংস বিক্রির অনুমতি দিয়েছে কানাডার আলবার্টা প্রদেশের প্রশাসন।
এতে করে ক্ষুদ্র খামারি ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন।
প্রদেশটি তার নিয়মনীতিতে পরিবর্তন করেছে, যাতে গ্রাহকরা খামারিদের কাছ থেকে পশু কিনতে মাংস নিজের পছন্দমতো প্রক্রিয়াকরণ করতে পারেন।
বর্তমান নিয়মে সব পশু প্রাদেশিকভাবে অনুমোদিত কসাইখানায় জবাই ও প্রক্রিয়াকরণ করতে হবে।
বুধবার আলবার্টার কৃষি ও বনমন্ত্রী ডেভেন দিশেন ঘোষণা করেছেন, প্রাদেশিকভাবে অনুমোদিত কসাইখানার বাইরেও নিরাপদ স্থানে পশু জবাই ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করা যাবে।
কাজটি হতে হবে কোনো লাইসেন্সধারী কসাই বা উৎপাদনকারীদের মাধ্যমে।
এদিকে আলবার্টার ক্ষুদ্র খামারি ও খুচরা মাংস বিক্রেতারা দেখেছেন কোভিড ১৯-এর সময় মাংস বিক্রি প্রচুর বেড়েছে। বহুদিন ধরেই বিধিনিষেধ শিথিল করার দাবি করে আসছিলেন আলবার্টার মাংস ব্যবসায়ীরা। অবশেষে তাদের আশা পূরণ হলো।
মন্ত্রী ডেভেন দিশেন আরও বলেন, এখন থেকে খামারিরা সরাসরি ভোক্তাদের কাছে মাংস বা পশু বিক্রি করতে পারবে।
এ বছরের শুরুর দিকে মন্ত্রী দিশেন মন্ত্রক খামার থেকে ভোক্তাদের বিক্রয়ের সম্ভাবনা সম্পর্কে পরামর্শ নিয়েছিলেন।
কোভিড-১৯ মহামারী খাদ্য সরবরাহের সুরক্ষা সম্পর্কে ভোক্তাদের উদ্বেগকে আরও বাড়িয়ে তোলে। বিশেষ করে এই প্রদেশের দুটি বৃহৎ মাংস প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে করোনা দেখা দেয়ার পর এটি নিয়ে নতুন করে ভাবিয়ে তোলে প্রশাসনকে।
করোনার কারণে প্রবাসীদের অনেকেই এ বছর কোরবানি দেয়া থেকে বিরত থাকার চিন্তা করছেন। কেউ কেউ বাংলাদেশে কোরবানি দিতে বলছেন পরিবার-পরিজনদের।
উল্লেখ্য, কানাডায় নির্দিষ্ট স্থানে কোরবানি দেয়া বাধ্যতামূলক। নতুন নিয়মের ফলে আশা করা হচ্ছে, নির্ধারিত ফার্মগুলোতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোরবানি দিতে পারবেন প্রবাসীরা বাঙালিরা।
ন, কানাডা থেকে