সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সামনের পয়েন্টের নামকরণ নিয়ে সিলেটে চলছে নানা আলোচনা। গত রবিবার রাতে এই পয়েন্টকে ‘নগর চত্বর’ নামকরণ করে উদ্বোধন করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পরদিন সোমবার দুপুরে এই চত্বরের নাম পরিবর্তন করে ‘কামরান চত্বর’ ঘোষণা করেছেন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
তাদের এই প্রতিবাদের সাথে একমত প্রকাশ করেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা।
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের মৃত্যুর পর সিটি কর্পোরেশনের সামনের পয়েন্টকে ‘কামরান চত্বর’ নামকরণ করার দাবি ওঠে। রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণও এটিকে স্বাগত জানান। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করবেন এমন বিষয় গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে সকলেই সেটিকে সাধুবাদ জানান। কিন্তু হঠাৎ করে গত রবিবার রাতে এই পয়েন্টকে ‘নগর চত্বর’ নামকরণ করে উদ্বোধন করেন মেয়র আরিফ। যা আমাদেরকে খুবই মর্মাহত করেছে এবং সিলেটের রাজনৈতিক সম্প্রীতিতে আঘাত করেছে। যার প্রতিবাদে সোমবার আমাদের অঙ্গসংগঠনসমূহের নেতাকর্মীরা নিজেরাই ‘কামরান চত্বর’ হিসেবে ফলক স্থাপন করেছেন। তাই আমি চাই সিটি মেয়র নিজেই উদ্যোগি হয়ে এই পয়েন্টকে ‘কামরান চত্বর’ নামকরণে ভূমিকা নেবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, গত ১৫ জুন সিলেটের প্রথম মেয়র ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ইন্তেকাল করেন। এরপরদিন তার স্মৃতিকে ধরে রাখার বিষয়ে উদ্যোগের ব্যপারে বিভিন্ন গণমাধ্যম আমাদের কাছে জানতে চায়। তখনই আমি নগর ভবনের সামনের পয়েন্টকে ‘কামরান চত্বর’ নামকরণের বিষয়টি উত্থাপন করি। এর পরেরদিন ১৭ জুন একটি অনলাইন লাইভ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এবং সিটি মেয়র মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উপস্থিতিতে আমি আবারো বিষয়টি উল্লেখ করি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় এ ব্যপারে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন। মেয়র মহোদয়ও সে কথায় একমত ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে হঠাৎ গত রবিবার রাতে তিনি এই চত্বরকে ‘নগর চত্বর’ নামকরণ করে উদ্বোধন করলেন। এটি আমার কাছে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনা। সিটি মেয়রের কাছ থেকে এমনটি আশাকরি নি। তাই আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, এখনো সময় আছে। আজকের সিটি কর্পোরেশনের মাসিক সভায় বিষয়টি আলোচনায় এনে এই পয়েন্টকে ‘কামরান চত্বর’ নামকরণ করার উদ্যোগ নিন। না হলে আমরা পরবর্তীতে এ নিয়ে অন্য ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান এ ব্যপারে বলেন, কামরান ভাই আমাদের আত্মার সাথে মিশে আছেন। আমরা চাই তাঁর নামে সিলেটে এমন কিছু হোক যাতে পরবর্তী প্রজন্ম তার সম্পর্কে জানতে পারে এবং তাঁর স্মৃতি রক্ষা হয়।
এ ব্যপারে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।
সিলেটভিউ২৪ডটকম/২৮ জুলাই ২০২০/ডিজেএস