বিনাভোটের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাস্থ্য খাত এখন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। এখানে একজন পিয়ন থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদের কর্মকর্তা পর্যন্ত দুর্নীতিতে জড়িত। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য খাতের এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যেখানে লুটপাট-দুর্নীতি হচ্ছে না।
শেখ হাসিনা ও তার সেবাদাসদের দাবি-দেশে কোনো দুর্নীতি নেই। তিনি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলেছেন। দুর্নীতি যা হয়েছে সব ছিল বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে।
কিন্তু প্রাণঘাতী করোনা এসে হাসিনার মুখোশ খুলে দিয়েছে। প্রকাশ করে দিয়েছে হাসিনার সৎ ও পবিত্র চরিত্রের অধিকারী মন্ত্রী-এমপি, আমলা ও আ.লীগ নেতাদের আসল চেহারা। করোনায় কয়েকহাজার মানুষ মারা গেলেও এক্ষেত্রে করোনা যে বাংলাদেশের জন্য আশির্বাদ সেটা স্বীকার করতে হবে।
জনগণের চাপ ও সমালোচনার মুখে স্বাস্থ্যের দুর্নীতিবাজ ডিজি আবুল কালাম আজাদকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন শেখ হাসিনা। স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন সবই জনগণের সমালোচনার মুখে নিতে হয়েছে। স্বেচ্ছায় তিনি দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।
তবে, হাসিনা এখন পর্যন্ত যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে সবগুলোই চুনো পুটিঁ হিসেবে পরিচিত। দুর্নীতির বরপুত্র হিসেবে যিনি পরিচিত সেই স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক তার চেয়ারে বহাল তবিয়্যতেই বসা আছেন।
হাসিনার গত শাসনামলে স্বাস্থ্যখাতকে লুটেপুটে খেয়েছিলেন নাসিম ও তার পুত্র। পরে নাসিমকে বিদায় দিয়ে এখানে বসান জাহিদ মালিককে। জাহিদ মালেক এর আগে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। হাসিনা তাকে ফুল মন্ত্রী করেন। ফুল মন্ত্রী হওয়ার পরই পুরোদমে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন জাহিদ মালিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাস্থ্যখাতের সব টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে জাহিদ মালেকের ছেলে। বাপ-বেটার নিয়ন্ত্রণেই চলছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, তাদের সঙ্গে গণভবনের উচ্চপর্যায়ের লোকদের সম্পর্ক রয়েছে। লুটপাটের ভাগ তাদের পকেটেও যাচ্ছে।
এখন রাজনীতিক বিশ্লেষকসহ সচেতন মানুষের প্রশ্ন-দুর্নীতির বরপুত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী তার পদে এখনো বহাল থাকেন কিভাবে? তিনিই হলেন দুর্নীতির মূল কারিগর। স্বাস্থ্য খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করতে হলে মন্ত্রীকে অবশ্যই সরিয়ে দিতে হবে।