পাঠাওয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও বাংলাদেশি তরুণ উদ্যোক্তা ফাহিম সালেহ খুনের দায়ে তার ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস ডেভন হাসপিলকে (২১) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এদিকে খুনে অভিযুক্ত ওই সহকারীর সঙ্গে থাকা এক তরুণীকে নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল ওই তরুণীকে ‘রহস্যময়ী’ বলে আখ্যায়িত করেছে।
হত্যাকাণ্ডের পর ১৫ জুলাই দুপুরে তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের ক্রসবি স্ট্রিটের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে অভিযুক্ত খুনিকে বেরিয়ে যেতে দেখা গেছে। সিসি ক্যামেরার সেই ভিডিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গোয়েন্দারা বলছেন, স্থানীয় সময় ১৩ জুলাই দুপুরের পর ম্যানহাটনে নিজের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে খুন হন ফাহিম সালেহ। খুন করে হত্যাকারী ওই দিন চলে যায়। পরদিন আবার ওই অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে আসে সে। এরপর ইলেকট্রিক করাত দিয়ে ফাহিম সালেহের মরদেহ কয়েক টুকরা করে সেগুলো ব্যাগে ভরে। রক্ত মুছে ফেলারও চেষ্টা করে।
এরপর ফাহিম সালেহের ব্যক্তিগত সহকারী টাইরেস ডেভন হাসপিলকে গ্রেপ্তার করে নিউইয়র্ক পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে এই আসামির নতুন বাসার দূরত্ব এক মাইলেরও কম। যেখানে ওই তরুণীকে দেখা যায়।
সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, টি-শার্ট পরা হাসপিলের বামপাশে সমান তালে হাঁটছেন ওই তরুণী। তার পরনের পোশাক কালো।
আসামি হাসপিলের মূলত বসবাস ব্রুকলিনের প্রোসপেক্ট পার্কে। কিন্তু তিনি আত্মগোপন করে ম্যানহাটনের ক্রসবি স্ট্রিটের একটি এপার্টমেন্টে ছিলেন। অল্প সময়ের জন্য সে এটা ভাড়া নিয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।
ডেইলি মেইলের হাতে আসা ভিডিও সম্পর্কে বলা হয়, এটা এক্সক্লুসিভ ভিডিও। এতে বুধবার স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৩০ মিনিটে ওই তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে হাসপিলকে ক্রসবি স্ট্রিটে দেখা যায়। এ ঘটনায় তরুণীকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের বিস্তারিত উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানায় নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্ট।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ফাহিম সালেহকে বৈদ্যুতিক টেজার গান দিয়ে (যার সাহায্যে মানুষকে সাময়িকভাবে নিশ্চল করা হয়) আঘাত করার পর নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
হত্যাকারী কালো রঙের স্যুট, সাদা শার্ট ও টাই এবং কালো মাস্ক পরে ফাহিম সালেহর পেছন পেছন ওই অ্যাপার্টমেন্টে ঢুকেছিলেন।
এদিকে আসামি হাসপিলকে ম্যানহাটনের ফেডারেল আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালতে ভার্চুয়াল শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।