লিখেছেন শাহ আলম সজীব
প্রতারণার দায়ে যেই শাহাবুদ্দিন হাসপাতালের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তারই সাথে সাথে “বেসরকারি হাসপাতাল এসোসিয়েশন” কঠোর কর্মসূচির হুমকি দেওয়া শুরু করেছে। অতীতে আমরা দেখেছি বিভিন্ন সংগঠন মানুষকে জিম্মি করতে। সরকারকে জিম্মি করতে।
প্রায়ই দেখা যায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা এদেশের মানুষ ও সরকারকে পরিবহণ ধর্মঘটের নামে জিম্মি করতে। আমরা দেখেছি শিক্ষকরাও কর্মবিরতি বা ক্লাস বর্জনের নামে আমাদেরকে জিম্মি করতে। ডাক্তার, নার্স বা অন্যান্য মেডিকেল স্টাফরাও কর্মবিরতির নামেও দেখেছি আমাদের জিম্মি করতে। বিভিন্ন পেশাজীবী ও শ্রমজীবীরাও আমাদেরকে জিম্মি করতে দেখেছি। সবাই শুধু সাধারণ মানুষ ও রাষ্ট্রকে জিম্মি করে!
করোনার এই মহামারিতে বেসরকারি অনেক হাসপাতাল সাধারণ রোগীদেরও চিকিৎসা না দিয়ে ফিরিয়ে দিতে দেখেছি। চিকিৎসা না পেয়ে অনেক মানুষকেই মারা যেতে দেখেছি।
করোনার এই দুঃসময়ে আমরা দেখেছি বেসরকারি হাসপাতালগুলোই প্রতারণা করছে। করোনা টেস্ট না করেই ভুয়া সনদ দিতে দেখেছি। করোনা আক্রান্ত না হয়েই মানুষকে করোনা রোগী বানিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিতেও দেখেছি। বিনামূল্যে করোনা টেস্টের কথা বলে সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়ে দ্বিগুণ মূল্যে করোনার টেস্ট ও ভুয়া রিপোর্ট দিতে দেখেছি। এসব প্রতারণার দায়ে সরকার যেই আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়েছে তখনই বেসরকারি হাসপাতাল এসোসিয়েশন হুমকি দিয়েছে কঠোর কর্মসূচির!
ওরা দেশটাকে কি মগেরমুল্লুক পেয়েছে? ওরা যা ইচ্ছা তাই করবে, প্রতারণা করবে, দুঃসময়ে মানুষকে ঠকাবে, সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা দিবে না আর আইনানুগ ব্যবস্থা নিলেই বলবে “অযথা হয়রানি।”
দেশের মানুষকে জাগ্রত হতে হবে ওই প্রতারক লুটেরাদের বিরুদ্ধে। এজন্য সরকারের পাশে থেকে আমাদের কাজ করে যেতে হবে।