অবশেষে গ্রেফতার নাটকের মধ্যদিয়ে বিশ্ব প্রতারক ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য সাহেদ অধ্যায়ের সমাপ্তি ঘটাতে যাচ্ছে সরকার। বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা দেবহাটার নদীর পার থেকে সাহেদকে গ্রেফতার করার দাবি করছে র্যাব।
অ্যানালাইসিস বিডিতে এর আগেও এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সাহেদ র্যাবের হেফাজতেই আছে। রফাদফা শেষ হলে একটি নাটকের মাধ্যমে র্যাব তাকে গ্রেফতার দেখাবে। অবশেষে সেটাই হলো।
সাহেদকে গ্রেফতারের ছবিগুলো দেখে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের মনে শত প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানুষ সরকার ও র্যাবের কঠোর সমালোচনা করছে। এক কথায় কেউই সাহেদকে গ্রেফতারের বিষয়টি বিশ্বাস করছে না। সকলেই সাহেদকে সাতক্ষীরায় নিয়ে একটি নাটক সাজানো হয়েছে।
বিশেষ করে লক্ষণীয় বিষয় হলো-সাহেদকে গ্রেফতার নিয়ে র্যাব ও স্থানীয়দের বক্তব্যের মধ্যে বিরাট গন্ডগোল দেখা যাচ্ছে। র্যাবের বক্তব্যের সঙ্গে এলাকার মানুষের বক্তব্য মিলছে না।
র্যাবের বক্তব্য হলো, নৌকা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তারা সাহেদকে নৌকার ভেতর থেকে আটক করেছে। নৌকা থেকে নামিয়ে আনার পর নদীর পাড়ে একটি ছবিও তুলেছে র্যাব। যেটাতে সাহেদের গায়ের পোশাককে ঝকঝকে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।
আর স্থানীয়রা বলছেন, ফজরের নামাজের পর তারা মসজিদ থেকে বের হয়ে নদীর পার র্যাবের টহল দলকে দেখতে পান। র্যাব সদস্যরা চিৎকার করে বলছে-পেয়েছি, পেয়েছি। ধর, ধর। সাহেদ একটি ড্রেনের আড়ালে লুকিয়েছিল। সেখান থেকে তাকে ধরে আনে। সাহেদের জামায় কাদাযুক্ত একটি ছবিও ভাইরাল হয়েছে।
এখন স্বাভাবিক ভাবেই একটি প্রশ্ন দেখা দেয় যে, নৌকা থেকে গ্রেফতার হওয়া সাহেদ ড্রেনের আড়ালে গেল কিভাবে?
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ছবি ছড়িয়ে পড়ার পর জনমনে হাস্যরসের জন্ম নিয়েছে। অনেকেই বলছেন অবশেষে নাটকীয়তার অবসান হলো কিন্তু ক্ষমতাসীনদের স্ক্রিপট লেখার হাত পরিপক্ক হলো না। কেউ কেউ বলছেন, পিস্তলটা কাঠের মত দেখা যায়। একজন অপরাধী যখন দেশ ছেড়ে পালাচ্ছে তখন কোমরে এভাবে পিস্তল রাখে কিভাবে? এটা সরকারের নাটক। সচেতন মানুষ বলছেন, গ্রেফতার নাটককে বিশ্বাসযগ্য করে তুলতে সাহেদকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ছবি তুলে এগুলো ভাইরাল করছে। এছাড়া গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যায় সাহেদের কোমরে যে পিস্তল রাখা হয়েছে সেটি খেলনা পিস্তল।