ভোরের আলো ডেষ্ক: কিংবদন্তি শিল্পী এন্ড্রু কিশোর (৬৫) আর নেই। আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশেষ ত্যাগ করেন তিনি। এন্ড্রু কিশোরের বোনজামাই ডা. প্যাটরিক বিপুল বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কিংবদন্তি এই গায়ক। তবুও ক্যানসার নির্মূল হয়নি প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের। চিকিৎসক হাল ছেড়ে দেওয়ায় ক্যান্সার নিয়েই ফিরতে হয়েছে দেশে। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি রাজশাহীতে ছিলেন। রবিবার থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সোমবার বিকালে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় আইসিইউতে। সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে তিনি জীবনের বাকি গল্প না শুনিয়ে চলে যান।
রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোন ডা. শিখা বিশ্বাস ও বোনজামাই ডা. ডা. প্যাটরিক বিপুল বিশ্বাসের বাড়িতেই ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। ডা. প্যাটরিক বিপুল বিশ্বাস জানান, রবিবার এন্ড্রু কিশোরের শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়। সোমবার আরও অবনতি হলে বিকাল ৪টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
রাজশাহীতে জন্ম নেওয়া এন্ড্রু কিশোর ১৯৭৭ সালে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে প্লেব্যাকে যাত্রা শুরু করেন। এরপর আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেও গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যে খানে’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় বাংলা গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের।
এদিকে, সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সদর আসনের এমপি ফজলে হোসেন বাদশা।