ভোরের আলো রিপোর্ট: কানাডার টরন্টোয় এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু হয়েছে। টরন্টো পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। বিষয়টি তারা তদন্ত করছে।
মারা যাওয়া বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর নাম নয়ন দাস। তিনি টরন্টো শহরের স্কারবরো এলাকার একটি বাড়িতে কয়েকজনের সঙ্গে ভাড়া থাকতেন। ১ জুলাই ওই ভাড়াবাড়ি থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে টরন্টো পুলিশ। তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।
নয়নের বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া থানার বাধাল গ্রামে। বাবা সঞ্জীবন দাস, মা পূর্ণিমা রানী দাস। নয়নের এক ছোট ভাই আছেন। নয়নের স্ত্রী সুস্মিতা ভৌমিক। বিয়ের মাস চারেক পরে নয়ন ২০১৮ সালে কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় পড়তে আসেন বলে জানা যায়। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন।
নয়নের ছোট ভাই চয়ন দাস প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের মৃত্যুতে আমাদের পরিবারের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল। মধ্যবিত্ত পরিবার একটা স্বপ্ন নিয়ে বাঁচে। আমাদের স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন আমি চাই, আমার ভাইয়ের রহস্যজনক মৃত্যুর কারণ তদন্তের মাধ্যমে বের হয়ে আসুক।’
চয়ন দাস জানান, তাঁদের কোনো আত্মীয়স্বজন বা কাছের কেউ টরন্টোয় নেই। তাই দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশি ও বাংলাদেশ দূতাবাস বিষয়টি আন্তরিকভাবে দেখবে।
টরন্টোয় নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাঈম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নয়নের অকালমৃত্যুতে আমরা খুবই মর্মাহত। আমরা ফোন করে তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি। তাঁর পরিবারের পাশে আমরা আছি। পুলিশকে তাঁর মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।’
নাঈম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তদন্তের পর নয়নের মৃতদেহ দেশে পাঠানো হবে, না এখানে সৎকারের ব্যবস্থা করা হবে, তা পরিবারের সঙ্গে আলোচনার পর নির্ধারণ করা হবে।’
নয়নের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ইতিমধ্যে কনসাল জেনারেল অব বাংলাদেশ ইন টরন্টো অফিসকে বিষয়টি অবহিত করেছে স্থানীয় পুলিশ। নিহত নয়নের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন দূতাবাসের এক কর্মকর্তা।
নয়নের খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী প্রসেনজিৎ রায় জানান, ২০১৬ সালে স্নাতক শেষ করে ২০১৮ কানাডায় স্নাতকোত্তর পড়তে আসেন নয়ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠী সুস্মিতা ভৌমিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন নয়ন।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যুতে কানাডায় বসবাসরত প্রবাসীদের মধ্যে শোক নেমে এসেছে। তাঁরা চাইছেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই তরুণের মৃত্যুর কারণ বের হয়ে আসুক।