নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) কোভিড-১৯ সম্পর্কিত সার্বিক পরিস্থিতি জানাতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ দুই হাজার ২৯২ জন।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম আক্রান্ত রোগীকে শনাক্তের পর ১০৩তম দিনে এসে লাখ ছাড়াল রোগীর সংখ্যা। এই সময়ে মোট মারা গেছেন ১ হাজার ৩৪৩ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেছেন ৪০ হাজার ১৬৪ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী প্রথম রোগী শনাক্তের ২৮ দিন পর ৬ এপ্রিল শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১০০ ছাড়ায়। ১৪ এপ্রিল ছাড়ায় এক হাজার। ১০ হাজার ছাড়ায় গত ৪ মে, ২০ হাজার ১৫ মে এবং পঞ্চাশ হাজার ছাড়ায় গত ২ জুন। এরপরের ৫০ হাজার ছাড়িয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা লাখ ছুঁয়েছে মাত্র ১৬ দিনেই।
দেশে বর্তমানে ৫৯টি ল্যাবে (পরীক্ষাগার) করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৫০৩টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৯টি এবং নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১৬ হাজার ২৫৯টি। বৃহস্পতিবার নিয়মিত বুলেটিনে এই তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা।
বুলেটিনে জানানো হয়, নতুন করে মৃত্যুবরণ করা ৩৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৩১ জন এবং নারী সাত জন। বয়স বিবেচনায় ১০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুই জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিন জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৪ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে পাঁচ জন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে দুই জন রয়েছেন। স্থান বিবেচনায়, ঢাকা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮ জন, রাজশাহী বিভাগে একজন, খুলনা বিভাগে দুই জন এবং বরিশাল, ময়মনসিংহ ও রংপুরের একজন করে রয়েছেন। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ২৪ জন এবং বাড়িতে মারা গেছেন ১৪ জন।
অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে যুক্ত হয়েছেন ৬৭৪ জন, আর ছাড় পেয়েছেন ৪০০ জন। এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে গেছেন ১৭ হাজার ৮৭১ জন এবং ছাড় পেয়েছেন ছয় হাজার ৮৪৫ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১১ হাজার ২৬ জন। দুই হাজার ৮২১ জন নতুন করে কোয়ারেন্টিনে যুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে আছেন ৬২ হাজার ৭০৬ জন।
এদিনের বুলেটিনের শুরুতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘমেয়াদি হবে। আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যের করোনা দূর হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।