ভোরের আলো ডেষ্ক: চট্টগ্রামে আইসিইউ সেবা না পেয়ে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। ফাতেমা আক্তার মুক্তা (৩০) নামের ওই নারী চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট এলাকার বাসিন্দা। দুই সন্তানের জননী ফাতেমাকে গত মঙ্গলবার প্রথমে চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতলে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে সেখানে চিকিৎসা না পাওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অক্সিজেন সাপোর্ট পেলেও আইসিইউ না পাওয়ায় মৃত্যু হয় তার।
মৃতের স্বামী তৌহিদুল আনোয়ার বলেন, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় মা ও শিশু হাসপাতালে গেলাম। বিভিন্ন টেস্ট করিয়ে বিকেল চারটা পর্যন্ত ছিলাম। আমার স্ত্রীকে আইসিইউ সুবিধা দিতে চিকিৎসকের পায়ে ধরেছি।
‘বলেছি এক ঘণ্টার জন্য হলেও আইসিইউ দেন। যদি অবস্থা স্থিতিশীল হয় তখন ছেড়ে দেবো। কিন্তু কারো মন গলাতে পারলাম না। পরে চমেক হাসপাতালে গেলাম।’
তিনি বলেন, জরুরি বিভাগ থেকে ৩০ নম্বর ওয়ার্ড ঘুরে করোনা ইউনিটে ভর্তি করানো হলো। শেষ পর্যন্ত অক্সিজেন দেওয়া হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা আইসিইউ লাগবে বলে জানান।
‘তবে চমেকেও আইসিইউ বেড খালি নেই জানিয়ে দেন চিকিৎসকেরা। রাত পৌনে চারটার দিকে আমার স্ত্রী মারা গেছেন। কী পরিমাণ কষ্ট গেছে তা বোঝানো সম্ভব না।’
তিনি আরও বলেন, পত্রিকায় পড়েছি বিভিন্ন হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় রোগী মারা যাচ্ছে। আজ সেটা আমার সঙ্গে ঘটলো। বুঝতে পারছি মানুষ কত কষ্ট পাচ্ছে।
এ ব্যাপারে চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম বলেন, একজন প্রসূতি নারী মারা গেছেন শুনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।
হাসপাতালের সব আইসিইউতে রোগী ভর্তি ছিল। একজন রোগীকে বের করে দিয়ে অন্য রোগী রাখার তো সুযোগ নেই। বর্তমান পরিস্থিতিতে আরও আইসিইউ প্রয়োজন। শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর ব্যাপারে আমরা কাজ করছি।