ধীরে ধীরে লকডাউন তুলছে কানাডা। এই সময়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষা এবং কনট্যাক্ট ট্রেসিং করার কার্যক্রম বাড়াবে দেশটি। কনট্যাক্ট ট্রেসিং মোবাইল অ্যাপ নিয়ে অ্যাপল এবং গুগলের সঙ্গেও কাজ করছে কানাডা।
শুক্রবার বিষয়গুলো জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। — খবর রয়টার্সের।
নিজের প্রতিদিনের সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো জানান, কনট্যাক্ট ট্রেসিং করার মাধ্যমে দেশটির সবচেয়ে জনবহুল অন্টারিও প্রদেশকে সাহায্য করছে ফেডারেল সরকার। একই কাজ অন্যান্য আরও ১২টি প্রদেশ ও অঞ্চলেও করা হবে।
“ব্যবসা ও নাগরিকদের মনে রাখা প্রয়োজন যে ধীরে ধীরে সব খুলে দেওয়ার ক্ষেত্রে এমন একটি সমন্বিত প্রক্রিয়া ব্যবহার করে হচ্ছে যার মূলে রয়েছে বিজ্ঞান, প্রমাণ এবং দ্রুত শনাক্ত ও ভবিষ্যত মহামারী নিয়ন্ত্রণের সক্ষমতা”। – বলেছেন ট্রুডো।
নভেল করোনাভাইরাসে কানাডায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৭৬৫ জন, আর মারা গেছেন ছয় হাজার ১৮০ জন। সংক্রমণ ধীরগতি হওয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রদেশগুলো নিজ নিজ কার্যক্রম শুরু করছে।
শুক্রবার কুইবেক প্রদেশ জানিয়েছে, জাদুঘর, পাঠাগার এবং ‘ড্রাইভ-ইন’ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী মে মাসের ২৯ তারিখ থেকে খুলছে। অ্যালবার্টা প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর ক্যালগেরি মে মাসের ২৫ তারিখ থেকে খুলে দিচ্ছে চুল কাটার সেলুন ও হেয়ারস্টাইল পার্লার।
এ ছাড়াও সামনে রেস্টুরেন্ট এবং পানশালাগুলো তাদের আসন সংখ্যার অর্ধেক ক্রেতাকে সেবা দিতে পারবে।
মে মাসের এক তারিখ থেকেই মহামারী নজরদারিতে ‘ডিজিটাল-ট্রেসিং’ টুলের ব্যবহার শুরু করেছে অ্যালবার্টা প্রদেশ। এ ধরনের অ্যাপ কারো সংস্পর্শে আসা কোভিড-১৯ ব্যক্তিকে শনাক্ত করতে পারবে এবং সে বিষয়ে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করতে পারবে।
সরাসরি কোনো ট্রেসিং অ্যাপের প্রচারণা না চালালেও, সরকারের অ্যাপল ও গুগলের সঙ্গে “ঘনিষ্ঠভাবে” কাজ করার ব্যাপারে জানিয়েছেন ট্রুডো। প্রযুক্তিটি প্রস্তুত হওয়ার পর সবাইকে এটিকে ব্যবহারের ব্যাপারে “দৃঢ় পরামর্শ”-ও দিয়েছেন তিনি।
তবে, কনট্যাক্ট ট্রেসিং প্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিক স্বাধীনতা ও গোপনতা খর্ব হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সমালোচকরা।