ভোরের আলো ডেষ্ক: ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক মার্কিন বায়োফার্মাসিউটিক্যাল কম্পানি সরেন্টো দাবি করেছে, তারা এমন একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছে, যা করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শতভাগ আটকে দিতে পারে। সংস্থাটির বিজ্ঞানীরা এটাকে একরকম ‘কিউর’ বা প্রতিকার হিসাবে আখ্যায়িত করছেন। তারা বলছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত করোনাভাইরাসের টীকা আবিষ্কার না হবে, ততদিন এই অ্যান্টিবডি করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
সরেন্টো কম্পানি এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের (এফডিএ) অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এই অনুমোদন পেলেই তারা মাসে এই এন্টিবডির ২ লাখ ডোজ তৈরি করতে পারবে বলে জানিয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম ফক্স নিউজের খবরে বলা হয়েছে, সান ডিয়েগো ভিত্তিক কম্পানি সরেন্টো থেরাপিউটিকসের এই আবিষ্কার করোনার লড়াইয়ে বিপ্লব সৃষ্টি করবে। সরেন্টোর দাবি, এসটিআই-১৪৯৯ কোড নামের এই অ্যান্টিবডি মানব দেহকে করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা করতে পারে এবং চার দিনের মধ্যে কোনো ব্যক্তিকে পুরোপুরি করোনাভাইরাসমুক্ত করে দিতে পারে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই অ্যান্টিবডি মানুষের শরীরে প্রবেশ করানোর পর করোনা সংক্রমণ শতভাগ থামিয়ে দেয়। নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই স্কুল অব মেডিসিনের সহযোগিতায় সরেন্টো একটি ওষুধ তৈরির চেষ্টা করছে। তাতে কতগুলো অ্যান্টিবডির সংমিশ্রণ ঘটানার পরিকল্পনা রয়েছে। এর মধ্যে এসটিআই-১৪৯৯ একটি।
এ বিষয়ে কম্পানিটি একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, মাসে যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি উৎপাদন করতে পারবে তা টীকা আসার আগেই পর্যাপ্ত আকারে পাওয়া যাবে বলে তাদের আশা। এ জন্য তারা এফডিএ’র কাছে জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো সবুজ সংকেত দেয়া হয়নি তাদের। ওদিকে এমন ঘোষণার পর সরেন্টোর শেয়ারমূল্য শতকরা প্রায় ২২০ ভাগ বেড়ে গেছে।
কম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. হেনরি ফক্স নিউজকে বলেছেন, আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই যে, প্রতিকার এসে গেছে। আমরা এমন সমাধান নিয়ে এসেছি, যা শতকরা ১০০ ভাগ কাজ করে। যদি আমাদের দেহে অ্যান্টিবডি থাকে তাহলে সামাজিক দূরত্বের প্রয়োজন নেই। কোনো ভয়ভীতি ছাড়া সবাই সমাজে চলাফেরা করতে পারবেন।
তবে বিষয়টি যদির ওপর নির্ভর করে। কোম্পানিটি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা তাদের ল্যাবরেটরিতে মানবকোষের ওপর পরীক্ষার ওপর ভিত্তি করে। তবে তারা যথার্থভাবে বলতে পারে না, এটা মানবদেহে সংক্রমণ থামিয়ে দিয়েছে কিনা। কারণ, এই অ্যান্টিবডিটি এখনো মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়নি। ফলে এটা মানবদেহে প্রবেশ করালে ভিতরে প্রবেশ করে কী আচরণ করে এবং তাতে কী রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়, তার পুরোটাই এখনও অজানা।
সূত্র- ফক্স নিউজ।