:নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া:
অনেকতো হলো, এবার একটু থামুনতো
সফলতার ঐ মহাচূড়া থেকে এবার এক
পরের হানির মতলব ভুলে
ইমারত ছেড়ে বসে তৃণমূলে
সহমর্মের বাতায়ন খুলে
এবার একটু ভাবুনতো!
আধুনিকতার যতো অর্জন
আসলে কতোটা ছিল প্রয়োজন
কতোটা করেছে জীবন নিধন;
জীবন বাঁচাতে কতোটা?
এখনো কতোটা হয়েছে পূরণ
মানব সেবার ব্রতটা?
এখনো কতো যে আছে অনটন?
দেশে দেশে আজো কতো অনশন
কতো যে বসন, কতো আবাসন
জোটেনি সুষম হারে?
সে হিসেব কষে হই বেকারার
বাড়ন্ত দেখি প্রাণ সংহার
বিদ্বেষ বিষ রোষ হিংসার
পরিধি নিত্য বাড়ে।
শিক্ষা-সুযোগ সবার জন্যে নেই সম
স্বাস্হ্য সেবায়ও বিশাল খামতি বি
শিক্ষা স্বাস্হ্য আবাসন খাতে
বরাদ্দ কমে নানা অপঘাতে
বিধি বিধানের ঝুটা অজুহাতে জটি
বোমা বারুদের বিশাল বাজেটে হয়না
সেবার চেয়েও কর্তাগিরিতে নিবিষ্
অনেকতো হলো, এবার একটু থামুনতো
সফলতার ঐ মহাচূড়া থেকে এবার এক
মনের টেলিস্কোপটা এখন এদিকটা তে ঘোরান তো,
পরতে পরতে সঞ্চিত কালি চিত্ত চি
যুদ্ধ এবং শান্তির মাঝে
যেই ব্যবধান বিবেকে বিরাজে
স্বর্গীয় সেই আত্মার আওয়াজে শা
কান পেতে নয়; প্রাণ পেতে আজ শু
বিশ্ব বিবেক কী দাবি তুলছে চূড়া
সেই দাবি মতে যুদ্ধের জ্বালা জু
‘শান্তি শান্তি শান্তি’ বলে শা
বিদ্বেষ বীজ উপ্ত করাই যুদ্ধ
মমতা মহিমা লুপ্ত করাই যুদ্ধ।
বোনের মাথার সিঁদুর মোছে এ যুদ্
ভায়ের রাখির বাঁধন কাটে এ যুদ্ধ
প্রীতমের প্রতি অবহেলা এই যুদ্ধ
জীবনের প্রতি জীবনের ঘৃনা যুদ্ধ
রক্ত রেণুর হোলিখেলা এই যুদ্ধ
জীবশ্রেষ্ঠের ল্জ্জা, ল্জ্জা যু
মানবতা বোধের শেষ শয্যা এ যুদ্
যুদ্ধ কেবলি রক্ত ঝরায় ভায়ের বু
যুদ্ধ কেবলি অশ্রু ঝরায় মায়ের
যুদ্ধ কেবলি যুদ্ধে জড়ায় আরেক
যুদ্ধ কেবলি ইন্ধন হয় চিতার কা
যুদ্ধ কেবলি গর্বে জড়ায় গোরের
যুদ্ধ মানেই বারুদে বিলীন বিরান
যুদ্ধ মানেই বিদ্বেষ আর বিচ্ছে
যুদ্ধ মানেই উদ্বেগ আর উচ্ছেদ।
যুদ্ধ মানেই বিরহ বিলাপ খেদ
যুদ্ধ মানেই শিকার ও শিকারি ভে
যুদ্ধ মানেই মিলনের মুখে অগ্নি
যুদ্ধ মানেই রক্ত ঋণের লগ্নি।
যুদ্ধ মানেই বোমা ও বারুদে কথা
যুদ্ধ মানেই শংকিত সভ্যতা।
অনেকতো হলো, এবার একটু থামুনতো
সফলতার ঐ মহাচূড়া থেকে এবার এক
চর্ম চক্ষু মুদে একবার খানিক গভী
বাস্তবে দেখুন সবি অকারণ
যতোটুকু হলো জীবনযাপন
আসলে কেবলি আয়ুর পীড়ন
এক কোষি এক জীবানুর কাছে জ্ঞানে
তার মানে তবে জ্ঞানের উৎসের হতে
বিলম্ব বলে কিছু নেই সেই ঘাটে,
আকুতির অভ্যর্থনায় সেই মহিমের
বিনিদ্র ক্ষণ কাটে।
সৃষ্টিতে তার করুণার রঙ মেখে
তিনি দিয়েছেন অমৃত বাণি এঁকে;
‘লা তাকনাতু মির রাহমাতিল্লাহ’-
নিরাশ হয়ো না আল্লাহ্’র দয়া থে